কলকাতা: স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার আদালতে ঢোকার আগে বিস্ফোরক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখে ছিল সুজন, দিলীপ, শুভেন্দুর নাম। তিনি বলেন, 'যে সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দুবাবুরা বড় বড় কথা বলছেন তাঁরা নিজেদের দিকে দেখুন। উত্তরবঙ্গে তাঁরা কী করেছেন দেখুন, ২০০৯-১০ -এর সিএজি রিপোর্ট পড়ুন। সব জায়গায় তদ্বির করছেন যেহেতু আমি বলেছি করতে পারব না। আমি বলেছি যে আমি নিয়োগ কর্তা নই। আমি বলেছি সাহায্য তো দূরের কথা কোনও বেআইনি কাজ করতে পারব না'।
এ প্রসঙ্গে এবিপি আনন্দকে ফোনে পাল্টা মন্তব্য করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি এদিন বলেন, "উনি আমার নামও নিয়েছেন দেখলাম। আরেকজন নেতা ট্যুইটও করেছেন। উনি ২০১০, ১১, ২০১২ এর কথা বলছেন। সত্যি কথা বলতে দিলীপ ঘোষকে কেউ জানতই না তখন। আমি তখন রাজনীতিতেই ছিলাম না। পার্থবাবুর সঙ্গে আমার ২০১৬ সালে বিধানসভায় পরিচয়। এরপরও যদি উনি প্রমাণ করতে পারেন যে আমি আমার জন্য, বা দলের কারও জন্য সুপারিশ করেছিলাম, তাহলে তাঁর জায়গায় আমি জেলে যাব। জেলে রয়েছেন তো মাথা ঠিক নেই। চারজন বান্ধবী, আর কোটি কোটি টাকার খেলা খেলেছেন, আর বলছেন অন্যায় করেননি। আর এটা চক্রান্ত বোঝাই যাচ্ছে। আগে কেউ ট্যুইট করছেন তারপর বলছেন। পরিকল্পনা করে বাকিদের জড়ানোর চেষ্টা করছেন। এভাবে বাঁচতে পারা যাবে না।'
আরও পড়ুন, 'হেফাজতে নিয়ে পার্থদার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হোক সুজন-শুভেন্দু-দিলীপকে', মন্তব্য কুণালের
প্রসঙ্গত, ১১.৪৮ নাগাদ একটি ট্যুইট করেছিলেন কুণাল ঘোষ। এরপর ১২.০৫ এ পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই মন্তব্য করেছেন। এ প্রসঙ্গে এবিপি আনন্দকে কুণাল ঘোষ বলেন, 'সাত দিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে বাম জমানা নিয়ে একই কথা বলেছিলেন। আমিও কাল বিকেলে এই বিরোধীদের সম্পর্কে একই কথা বলেছি। এটা নতুন কিছু তো নয়। প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষের নথি কেন পাওয়া গিয়েছে তা নিয়েও তো আমি বলেছি। সাংবাদিকরা কী প্রশ্ন করেছেন আর পার্থবাবু কী বলেছেন সেটা আমার জানার কথা নয়।'