শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : দলীয় সভায় যাওয়ার পথে ফের দিলীপ ঘোষকে 'গো ব্যাক' স্লোগান। তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় দিলীপকে কালো পতাকা। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতিকে 'গো ব্যাক', কালো পতাকা যুব তৃণমূলের। কোচবিহারের তুফানগঞ্জে উত্তেজনা।



নানা কারণেই কোচবিহার অত্যন্ত উত্তপ্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত। কখনও দুই দলের রাজনৈতিক সংঘর্ষ, কখনও কোনও দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ঘটনা সামনে আসে। সেই জেলাতেই এবার বিক্ষোভের সামনে পড়লেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কনভয় যাওয়ার সময় পাশে দাঁড়িয়ে কালো পতাকা দেখালেন যুব তৃণমূলের সদস্যরা। 


সম্প্রতি কোচবিহারে বিমানবন্দর চালু হওয়া নিয়ে টানাপড়েন চলেছে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। আগে থেকেই এই বিমান পরিষেবা চালুর কৃতিত্ব নিয়ে তৃণমূল(TMC) -বিজেপির (BJP) মধ্যে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে । উদ্বোধনের দিন রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) প্রতিনিধি হিসেবে থাকার কথা ছিল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়ের । কিন্তু দুজনেই বিমানে থাকবেন না বলে জানিয়ে দেন। শেষমেশ বিজেপির (BJP) ৫ বিধায়ককে নিয়ে কোচবিহার থেকে কলকাতা পৌঁছয় প্রথম বিমান। এই প্রসঙ্গেই দিলীপ ঘোষ এদিন বলেছিলেন, 'তৃণমূল (TMC) চায়নি কোচবিহারে (Coochbehar) বিমান চালু হোক।' তাঁর দাবি, কেন্দ্রের উদ্যোগেই কোচবিহারে বিমান চালু হয়েছে। রাজ্যে পট পরিবর্তনের পরে কোচবিহার বামদুর্গ থেকে পরিণত হয় তৃণমূলের খাসতালুকে। বাম শিবিরের একাধিক প্রথম সারির নেতা নাম লেখান তৃণমূলে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেখানেও রাজনৈতিক জমিতে বদল এসেছে, ২০১৯ সালে, ২০২১ সালে কোচবিহারে খুব ভাল ফল করে বিজেপি। আর কদিন পরেই পঞ্চায়েত ভোট। ফলে এখন জেলার রাজনীতি যথেষ্ট উত্তপ্ত। এর মাঝেই, বিএসএফ-এর গুলিতে মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত হয়েছে কোচবিহারের রাজনীতি। অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নির্দেশে কোচবিহারের সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল। তা নিয়েও তরজায় জড়িয়েছিল দুই শিবির।  


এর আগে পাহাড়ে:
এর আগে উত্তরবঙ্গে হামলা হয়েছিল দিলীপ ঘোষের উপরে। সেটা ২০১৭ সাল। সেই সময় রাজ্য সভাপতি পদে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। দার্জিলিংয়ে সভা করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে দিলীপ ঘোষ এবং তাঁর সঙ্গীদের উপর হামলা হয়। অভিযোগ উঠেছিল বিনয় তামাং অনুগামীদের দিকে। মারমুখী বিনয় তামাং অনুগামীদের থেকে কোনওক্রমে পালিয়ে বেঁচেছিলেন দিলীপ ঘোষ।


আরও পড়ুন: রাজ্য সরকার অসহযোগিতা করেছে, কেন্দ্রের উদ্যোগেই চালু বিমান পরিষেবা: দিলীপ ঘোষ