এগরায় তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হল। বিস্ফোরণের তীব্রতায় মৃতদেহ ছিটকে গিয়ে পড়ে পুকুর ও রাস্তায়। স্থানীয়দের দাবি, বাজির কারখানার আড়ালে বোমা তৈরি হত। অবৈধভাবে চলছিল বাজি কারখানাটি, জানালেন জেলার পুলিশ সুপার। এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছে সিপিএম ও বিজেপি। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সিকে দিয়ে তদন্তের দাবিতে অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। এনআইএ তদন্ত করলে আপত্তি নেই, বলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। আর এই প্রসঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন :
হাইপারটেনশন থেকে হতে পারে চোখের ভয়ঙ্কর রোগ, হারাতে পারেন দৃষ্টিও !
তিনি বললেন, 'ঠেলায় পড়লে বিড়ালও গাছে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী জানেন, এটা নিয়ে কেউ না কেউ কোর্টে যাবে। কোর্ট সঙ্গে সঙ্গে NIA তদন্তের আদেশ দেবেই। তাই কানমোলা খাওয়ার আগে উনি নিজেই স্বীকার করেছেন, NIA হলে আপত্তি নেই। যদি উনি সত্যিই চান, তাহলে নিজে থেকে NIA তদন্ত চাইছেন না কেন? ওনার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে চিঠি লেখা উচিত, যে এর তদন্ত হওয়া উচিত। '
'মানুষ ক্ষেপে গিয়ে সেই পঞ্চায়েত ভেঙে দিয়েছে'
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি আরও বলেন, ' মমতা বন্দোপাধ্য়ায় বলছেন, সেখানে বিজেপির পঞ্চায়েত। আগে বিজেপির পঞ্চায়েত ছিল না। ওনাদের পঞ্চায়েত ছিল। মানুষ ক্ষেপে গিয়ে সেই পঞ্চায়েত ভেঙে দিয়েছে। এখন সেখানে নির্দল পঞ্চায়েত প্রধান। এই সমাজবিরোধী ও দেশ বিরোধী কাজ, এখানে পুলিশ কোথাও না কোথাও যুক্ত। নাহলে কমপ্লেন করার পরেও পুলিশ কিছু করে না কেন? তার মানে পুলিশের ওপর পলিটিক্যাল প্রেশার আছে। তাই আজ পুলিশ আক্রমণের শিকার। এই ধরনের বিস্ফোরক যেখানে আছে, সেটা অন্য কোনও কাজে লাগতে পারে। সবাই বলছে, গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ওখান থেকেই বোমা সাপ্লাই হত। তাই গোটা বিষয়টা নিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত প্রয়োজন। ছোট ব্যাপার বলে এড়িয়ে গেলে চলবে না। এর পিছনে বড় চক্রান্ত বা বিদেশি মদত থাকতে পারে। '
এগরা যাবেন শুভেন্দু
অন্যদিকে এগরার খাদিকুল গ্রামে যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার বাঁকুড়ার সিমলাপালে সভা করতে যাওয়ার পথে এগরা যাবেন বলে ট্যুইটে জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ট্যুইটে তিনি জানিয়েছেন, ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে তিনি খাদিকুল গ্রামে যাবেন।