কলকাতা: নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর (Netaji Subhash Chandra Bose) আজ ১২৭ তম জন্মদিবস। এই উপলক্ষে কলকাতা (Kolkata), দিল্লি (Delhi)-সহ দেশের নানা প্রান্তে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।  তবে নেতাজির জন্মদিনে রয়েছে রাজনৈতিক বিতর্কও। এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, "আমাদের দেশের স্বাধীনতার মূল স্থপতি ছিলেন নেতাজি। কিন্তু পরবর্তী কোনও সরকারই তাঁকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেয়নি। তাঁকে ব্যবহার করেছে। বিজেপি সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী সেই মর্যাদা, সম্মান দিচ্ছেন, দেশের মানুষও সেটা দেখছে।                                          


নেতাজির জন্মদিবসের অনুষ্ঠানে একই সুর শোনা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর গলাতেও। শুভেন্দু বলেন, 'যারা সরকারে এসেছেন, দেশ চালিয়েছেন, তাঁরা যথাযত মর্যাদা ওনাকে দেননি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নের্তৃত্বে দেশ এই মর্যাদা দান করছে, ভারতবাসী তাতে সামিল হচ্ছে। এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্বের। রাজ্য সরকারের ১২ টার পরে ঘুম ভাঙে। রাজ্য সরকার ঘুমায় । এখনও সবাই ঘুমাচ্ছে।'  


অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে তোপ দেগেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও। তিনি বলেন, "বিজেপির হাতে কোনও আইকন নেই, তাই নেতাজির ভাবধারায় বিশ্বাস না রেখেও. এসব বলে বেড়াচ্ছে।" সুর চড়িয়েছেন সুজন চক্রবর্তীও। বাম নেতা বলেন, "নেতাজি তো শ্যামাপ্রসাদকে খারিজ করেছিলেন। দেশবনধু চিত্তরঞ্জন দাশও খারিজ করেছিলেন।শ্যামাপ্রসাদ নিজেই মন্ত্রিসভায় ফজলুল হকের প্রসঙ্গে বলেছিলেন আমি হিনদু সাম্প্রদায়িক, উনি মুসলিম সাম্প্রদায়িক। এই ধরনের কথা কি নেতাজি সমর্থন করতেন?"


 আরও পড়ুন, প্রজাতন্ত্র দিবসে ফের ফিরছে বাংলার ট্যাবলো, দিল্লির রাজপথে এবার দুর্গাপ্রতিমা, মন্ত্রোচ্চারণ


এদিকে, ময়দানে, শহিদ মিনারের কাছে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৭ তম জন্মজয়ন্তী পালনের আয়োজন করেছে RSS। নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানাবেন মোহন ভাগবত। উপস্থিত থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষরাও।



অন্যদিকে, নেতাজির জন্মদিনে, আন্দামান ও নিকোবরের একুশটি অনামী দ্বীপের নাম রাখা হচ্ছে বীর সেনাদের নামে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পরমবীর চক্র পুরষ্কারপ্রাপ্ত ২১ জন সেনার নামে ওই দ্বীপগুলির  নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আজ ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ২০২১ সালে, ২৩ জানুয়ারি, নেতাজির জন্মদিনটিকে পরাক্রম দিবস বলে ঘোষণা করেছিল মোদি সরকার। এর আগে, রস আইল্য়ান্ডকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু দ্বীপ এবং নীল ও হ্য়াভলককে শহিদ ও স্বরাজ দ্বীপ নাম দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।