কলকাতা: প্রত্যেকদিনের মতো, আজও প্রাতঃভ্রমণ করতে ইকোপার্কে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সদ্য বিজেপি নেতার স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের আগের পক্ষের ছেলে প্রীতম ওরফে সৃঞ্জয়। দিলীপ ঘোষের পরিবারে এখন তাই শোকের আবহ। তবে এদিন পার্কে এসে বিভিন্ন পারিপাশ্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন দিলীপ ঘোষ। পূর্ণম ও উকিলের প্রত্যাবর্তন থেকে শুরু করে 'বয়কট তুরস্ক' নিয়েও কথা বলেন তিনি।
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক। আর সেই কারণেই পণ্য আদানপ্রদান থেকে শুরু করে তুরস্কে শ্যুটিং করতে যাওয়া, প্রত্যেকটা বিষয়েই সমস্তরকম সম্পর্ক ছিন্ন করতে চেয়েছে ভারত। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'ভারত বরাবরই মানবতার পক্ষে। ভারত তার সাধ্যমতো করে। এটাই আমাদের সংস্কৃতি। তুরস্ককে এবার অন্যান্য দেশও বয়কট করবে। সহ্যের সীমা পার করেছে ওরা। বিশ্বাসঘাতকতার সীমা পেরিয়ে গেছে। যুদ্ধ নানারকমের হয়। এটা আর্থিক যুদ্ধ হবে। শুধু সরকার নয় দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে চেতনা জেগেছে। তারাও আজ বয়কট তুরস্ক স্লোগান দিতে শুরু করেছেন। এর ফল ওদের ভুগতে হবে। চীন প্রচুর জিনিস ভারতে বিক্রি করে। দুই বছর আগে দীপাবলির আগে বয়কট চিন স্লোগান উঠেছিল। এর ফলে ওদের ৫০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়েছিল। ভারতের বাজার দেড়শো কোটি লোকের। সবার কাছে এই বাজার আকর্ষণীয়। তার ফায়দা নিতে গেলে আমাদের সঙ্গে ভদ্র আচরণ করতে হবে। নাহলে বদলা নেওয়ার ক্ষমতা ভারতের আছে।'
পাকিস্তানের হাতে ২১ দিন বন্দি থাকার পরে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছে পূর্ণম সাউ। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'সেই সময় যদি অভিমন্যু বর্তমানের মতো ফাইটার পাইলট কে ফিরিয়ে আনতে পারি তাহলে তারপর তো অনেক জল গড়িয়েছে। ভারত এখন শক্ত সমর্থ দেশ। আমাদের সম্পূর্ণ ভরসা ছিল ভারত তার ফৌজিদের ফিরিয়ে আনবে। বাস্তবে সেটাই হল। বিশ্বে ভারতের সম্মান প্রমাণিত। মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়।' পূর্ণমের দেশে ফেরায় অবদান কার, সে নিয়ে শুরু হয়েছে কেন্দ্র রাজ্য় টানাটানি। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলছেন, 'এরকমই হয়। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত যুদ্ধ জিতল মমতার জন্য। যুদ্ধ বন্ধ হল মমতার জন্য। পারমাণবিক বোমা ধ্বংস হল মমতার জন্য। বাংলাদেশ বলছে ইউনূসকে দেখে নাকি ভারত কাঁপছে। এরকমই আমাদের এখানেও সোশ্যাল মিডিয়ায় এইসব পোস্ট হয়।'