সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগণা : রাজ্যজুড়ে এক সময় পরপর ভুয়ো আইএএস , ভুয়ো সিআইডি অফিসার থেকে ভুয়ো ডাক্তার, একের পর এক ভুয়ো গ্রেফতার ধরা পড়েছিল। এবার দেগঙ্গা থানার পুলিশের জালে ধরা পড়ল ভুয়ো পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর ! আর সেই ব্যক্তি  ধরা পড়ে দিলেন আজব সব যুক্তি। 


'পুলিশের ইউনিফর্ম,কাঁধে আবার দুটো স্টার'


অভিযুক্তর নাম সেখ নাদিম হোসেন। তিনি খড়দা থানা এলাকার বাসিন্দা। দেগঙ্গা এলাকায় তিন বছর ধরে রয়েছেন তিনি। অভিযোগ, একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি নিজেকে বারাসত থানার ওসি ট্রাফিক বলে পরিচয় দিতেন তিনি । আর তাই বিশ্বাস করে নিত লোকে । 


আর বিশ্বাস করবে নাই বা কেন? তিনি তো পরতেন পুলিশের ইউনিফর্ম।  কাঁধে আবার দুটো স্টার ! সবাই তাকে পুলিশই ভেবে নিয়েছিল। দেগঙ্গার নুর নগরের বাসিন্দা, নুরুল ইসলামের অভিযোগ, তাঁর ছেলের চাকরি দেওয়ার নাম করে ৪০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন তিনি। তখনও ধরা পড়ত না তাঁর কুকীর্তি। 


কীভাবে পুলিশের জালে ভুয়ো পুলিশ ?


এরপর সম্প্রতি ফোন করে নুরুলের কাছে আরও টাকা চায় ওই 'ভুয়ো' পুলিশ । নুরুল তখন জানতে চান, আপনি যে পুলিশ অফিসার তা কীভাবে বিশ্বাস করব। তারপরে অভিযুক্ত শেখ নাদিম হোসেন পুলিশের এসআইয়ের ইউনিফর্ম পরে হাজির হন। ইতিমধ্যেই নুরুল দেগঙ্গা থানার পুলিশকে খবর দেন। 


পুলিশ বিকেল পাঁচটা নাগাদ কার্তিকপুর বাজার থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি যে ভুয়ো পুলিশ অফিসার, তা পরিষ্কার। এই চক্রের সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত আছে তা তদন্ত করে দেখছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ।  মঙ্গলবার আদালতে অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে চাওয়া হতে পারে।  


অভিযুক্ত এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে দাবি করেন, 'তাঁর ছোট থেকে পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন ছিল। বাবা-মা খুব কষ্ট করে মানুষ করেছে। পুলিশ হতে পারেননি । তাই তিনি পুলিশের ইউনিফর্ম পরে বেড়াতেন। কিন্তু কারও সঙ্গে প্রতারণা করেননি। তবে পুলিশেক ইউনিফর্ম পরে, নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে অন্যায় করেছেন বলে স্বীকার করে নেন।    


আরও পড়ুন: ঘনিষ্ঠতা থাকলে পুরভোটে টিকিট দেওয়া হল না কেন? জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা অস্বীকার শঙ্কর আঢ্যর