কলকাতা: চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। আশঙ্কা বাড়িয়ে নিম্নচাপ পরিণত হয়েছে অতি গভীর নিম্নচাপে। এই আবহে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এদিন তিনি বলেন, "প্রত্যেক বছর দু-তিনবার ঝড় হচ্ছে। কিন্তু রাজ্যে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় না। সেই জন্য ওড়িশা, দিল্লি থেকে বাহিনী আনতে হয়।'' মন্তব্য বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের। 

প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দিলীপ ঘোষ: এই মুহূর্তে পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৫৮০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থান করছে অতি গভীর নিম্নচাপ। আগামীকাল কালীপুজোর সকালেই তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, মঙ্গলবার ভোরে বাংলাদেশের তিনকোণা দ্বীপ ও সন্দীপের মাঝামাঝি উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এর প্রভাবে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। আগামীকাল দুই ২৪ পরগনায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টি হতে পারে দুই মেদিনীপুরেও। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুরে আগামীকাল হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। আর এই পরিস্থিতি রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দিলীপ ঘোষ। 

পাল্টা তোপ কুণালের: এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “ঝড় আসছে। আসতেই থাকে। আমার মনে হয় ঠিকঠাক তথ্য সাধারণ মানুষকে দেওয়া উচিত। রাজ্যে ২-৩ বার ঝড় হচ্ছে, অথচ বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য কোনওরকম প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় না। নিজস্ব গ্রুপ দরকার। নাহলে দিল্লি, ওড়িশা থেকে বারবার চাইতে হয়।’’ পাল্টা কুণাল ঘোষ বলেন, “দিলীপবাবু কী বলতে চান? কেন ২-৩ বার ঝড় হবে, ২-৩ বার নিম্নচাপ হবে, এগুলোর জন্য কি তৃণমূল সরকারকে দায়ী করতে চাইছেন? অসমে যখন বন্যা হল, গোটা রাজ্য হাবুডুবু খেল, কোনও সরকার ছিল বলে মনে হয়। বিজেপি শাসিত রাজ্যে যখন বন্যা হয়, অতি বৃষ্টিতে জল জমে, তখন দিলীপ বাবুদের প্রশিক্ষণ কোথায় থাকে? কোথায় থাকে দিলীপ বাবুদের প্রশিক্ষণ?’’     

শনিবার, নবান্নে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। নবান্ন সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পরিস্থিতির ওপর নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ১০ আইএএস অফিসারকে। নবান্নে খোলা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম, যার নম্বর 5858। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও। জেলায় জেলায় তৈরি রাখা হচ্ছে সাইক্লোন শেল্টার, পানীয় জলের মোবাইল ইউনিট। নবান্ন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ ও সরকারি হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত কর্মী মোতায়েন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: Cyclone Sitrang: চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং, আশঙ্কা বাড়িয়ে নিম্নচাপ পরিণত হয়েছে অতি গভীর নিম্নচাপে