বহরমপুর: আলোর উৎসবে ভারী বৃ্ষ্টিতে বিপত্তি হতে পারে বলে পূর্বাভাস শুনিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আন্দামান সাগরে নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলেো জানানো হয়েছে। ঠান্ডা হাওয়া শীতে আসারই ইঙ্গিত কিনা, বোঝা যাবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই। সেই অনুযায়ী, রবিবার মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাতে গরম বেশ খানিকটা কমবে বলেই আগাম পূর্বাভাস মিলেছে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। একই সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও কিছুটা কমবে। রবিবার মুর্শিদাবাদের সামগ্রিক আবহাওয়া (Murshidabad Weather) জেনে নিন বিশদে।
রবিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মুর্শিদাবাদে
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার মুর্শিদাবাদ জেলায় আকাশ মূলত মেঘলা থাকবে। সকালের দিকে বৃষ্টি না হলেও, দুপুরের পর অথবা রাতের দিকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে জেলার একাধিক জায়গায়। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে জেলার একাধিক জায়গায়। কোথাও কোথাও হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এ দিন মুর্শিদাবাদে বৃষ্টির সন্ভাবনা রয়েছে ৩০ শতাংশের মতো।
রবিবার মুর্শিদাবাদ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। রাতের দিকে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকবে। একই সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি কাটবে কিছুটা হলেও। জেলায় সকালে আর্দ্রতার হার থাকবে ৫৯ শতাংশের মতো। রাতের দিকে আর্দ্রতার হার ৮৩ শতাংশের মতোই থাকবে বলে পূর্বাভাস মিলেছে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক মুর্শিদাবাদের আজকের আবহাওয়ার আপডেট-
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা- ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা- ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বাতাসের আর্দ্রতা- ৮৩ শতাংশ
সামগ্রিক আবহাওয়া-বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, দাবদাহ থেকে কিছুটা রেহাই
সূর্যোদয়- সকাল ৫টা বেজে ৩৮ মিনিট
সূর্যাস্ত- বিকেল ৫টা বেজে ০৪ মিনিট
রাজ্য়ের পশ্চিমের জেলা মুর্শিদাবাদ ২৪ ডিগ্রি ৫০ মিনিট থেকে ২৩ ডিগ্রি ৪৩ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ ডিগ্রি ৪৬ মিনিট পূর্ব থেকে ৮৭ ডিগ্রি ৪৯ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। মোট ৫ হাজার ৩৪১ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থান।
এ দিকে, সামগ্রিক ভাবে জুনের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিহীন থেকেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার ফলে কৃষিকাজের উপরেও এই অনাবৃষ্টির প্রভাব পড়েছে। তবে গত কয়েক দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির দেখা মিলেছে। বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতাও। তাতে আশার আলো দেখেন কৃষকরা। তবে বেঙ্গালুরুর মতো কিছু জায়গা এখনও বিপাকে। ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা।