কলকাতা: নিয়োগ-দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) গ্রেফতার যুব তৃণমূল (TMC) নেতা কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) জোড়া ডায়েরিতে এবার নজর ইডি-র (ED)। প্রাথমিকভাবে ইডির অনুমান, এই দুই ডায়েরিতেই রয়েছে টাকা পয়সার সমস্ত হিসেব। কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতারের দিন, তাঁর ঘর থেকে এই দুই ডায়েরি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। সেই প্রসঙ্গেই এবার কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।                               

  


দিলীপের কথায়, কুন্তলরাই তৃণমূল দলের অ্যাসেট। এদের হ্যান্ডলার বলে। সবার সঙ্গে কুন্তলের ছবি আছে। আজ অনেকেই চিনতে চাইছে না। অভিষেকের ডান দিকে বিনয় মিশ্র আর বাঁদিকে কুন্তল ঘোষ থাকে কেন? উনি বলছেন আমি সত। অসৎ প্রমাণে ফাঁসি দিয়ে দাও। যদি সেরকম ঘটনা ঘটে, হয়তো একদিন সেই ছবিও দেখা যাবে।                                  


মঙ্গলবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। কুন্তল প্রসঙ্গ ছাড়াও আরও একাধিক মন্তব্য করেছেন তিনি।                                   


আরও পড়ুন, 'গ্রামে ঢুকবেন না নেতা-মন্ত্রীরা' দেওয়াল লিখে প্রতিবাদ গ্রামবাসীদের


প্রসঙ্গ নেতাজি


বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির কথায়, "এটা ভালো তো। খারাপ কি? নেতাজি বন্দনায় প্রতিযোগিতা ভালো। আরও ৫০ বছর আগে হওয়া উচিৎ ছিল। তাহলে আজ আমাদের এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ান যুব সমাজ আদর্শ পেত। নেতাজিকে সাধারণ মানুষের থেকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। সেই চক্রান্ত ফাঁস হয়ে গেছে। যুব সমাজ আইকন খুঁজে বেড়াচ্ছে। সেই সুযোগ নরেন্দ্র মোদি করেছেন। আর নেতাজি কন্যাকে নিয়ে বিতর্ক আছে। তাই উনি যেটা বলছেন সেটাই অথেনটিক, তা মানা যায়না। আবেগ আছে। আঘাত না দিয়ে কাজ করতে হবে। মৃত্যু নিয়ে বিশেষজ্ঞরা যেমন গবেষণা করছেন করুন। তার আবেগ ও আদর্শ নিয়ে আমরা এগিয়ে চলি। 


এদিকে রেড রোডে নেতাজির জন্মদিবস পালনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দিদির দূতের প্রতি বিক্ষোভ ইতিবাচক। এ নিয়েও কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছে দিলীপ ঘোষের গলায়। তিনি বলেন, "আঙুর ফল টক। ওনারা ভেবেছিলেন চোখ দেখিয়ে আঙ্গুল দেখিয়ে যেরকম চলছে, সেরকমই চলবে। সেটা হচ্ছে না। উনি বলছেন ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকা উচিৎ? তাহলে অম্বিকেশ মহাপাত্রকে জেলে ঢুকিয়েছিলেন কেন? উনি তো একটা কার্টুন শেয়ার করেছিলেন। বিজেপির হাজার হাজার ছেলে শুধু ফেসবুকে পোস্ট লাইক করায় জেলে ঢুকিয়েছিলেন কেন? পুলিশ বাড়িতে গেছিল কেন? এখন আটকাতে পারছেন না। তাই বড় বড় কথা বলছেন। "