কিভ : কিভ, খারকিভের পর এবার ইউক্রেনের আরেক বড় শহর সুমিতে হামলার ধার বাড়িয়েছে রাশিয়া! অন্যদিকে, যুদ্ধের ১৪ তম দিনে মানব করিডরের জন্য ফের ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল রাশিয়া। বুধবার রাজধানী কিভ ছাড়াও চেরনিহিভ, সুমি, খারকিভ, মারিউপোল ও জাপোরিজিয়া শহর দিয়ে বেরোনোর জন্য মানব করিডর করা হয়েছে।  


চারদিকে শুধুই হামলার ছবি। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ধ্বংসের নানা চিহ্ন! সুমিতে রাশিয়ার বিমান হামলায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন। এর মধ্যেই ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের সুমি শহর থেকে ৬৯৪ ভারতীয় পড়ুয়াকেই উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রীর দাবি, মারিউপোল শহরে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষকে বন্দি করে রেখেছে রাশিয়া। মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর।

প্রাণনাশের আশঙ্কার মধ্যেই রাশিয়াকে রীতিমতো চ্যালেঞ্চ ছুঁড়ে দিয়ে ইউক্রেনের ৪৪ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট তাঁর আস্তানার ঠিকানা প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন। অর্থাৎ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বোঝাতে চেয়েছেন, তিনি ভীত নন! এদিকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে তৃতীয় দফার বৈঠকও নিস্ফলা হওয়ার পর বুধবার বৈঠকে বসবেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী। রাশিয়ার সামনে ভ্লাদিমির পুতিন ও ভলোদিমির জেলেনস্কির বৈঠকের প্রস্তাব দেবেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী। তবে বৈঠকের মধ্যেই দিনে দিনে হামলার তেজ আরও বাড়াচ্ছে রাশিয়া। জলা জমির উপর অস্থায়ী সেতু তৈরি করে রুশ বাহিনীর কিভের দিকে এগিয়ে আসার ছবি সামনে এসেছে। প্রকাশ্যে এসেছে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে, রুশ বাহিনী ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি করার ছবিও।


ইউক্রেনের ইর্পিন শহরে রুশ হামলার ছবি সামনে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা যখন এলাকায় খালি করছিলেন তখনই মর্টার হামলা চালায় রাশিয়া। ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। রুশ সেনা বাহিনীকে আটকাতে প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনও।  তাঁদের দাবি, যুদ্ধে সোমবার রাশিয়ার মেজর জেনারেল ভিতালি গেরাসিমভের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে যুদ্ধে রাশিয়ার দ্বিতীয় মেজর জেনারেলের মৃত্যু হল। ইউক্রেনের দাবি, রুশ সেনার ৮০টি কপ্টার, ৪৮টি যুদ্ধবিমান, ২৯০টি ট্যাঙ্ক করা হয়েছে। পাল্টা, এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রায় আড়াই হাজার সামরিক পরিকাঠামোকে ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। মস্কোর দাবি, ইউক্রেন সেনার ৮৭টি পোস্ট ও যোগাযোগ কেন্দ্র, ১২৪টি যুদ্ধবিমান, ৭৯টি র‍্যাডার স্টেশন, ৯১টি রকেট লঞ্চার, ও ৬৩৪টি সাঁজোয়া গাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই এবার, রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।