দীপক ঘোষ, অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: গতবছর জুলাইয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ খোয়ানোর পরই, আসানসোলের সাংসদ পদ ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) । পরে বিজেপি ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলে। বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকেই ঝড়ের গতিতে বাবুলের দিকে এসেছে কটাক্ষ বিজেপি শিবির থেকে। সোমবার মনোনয়ন জমা করার আগেও আবারও এল খোঁচা। ফের দিলীপের (Dilip Ghosh) নিশানায় বাবুল। BJP র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বললেন, 'হাতে পায়ে ধরে মন্ত্রী হওয়ার তালে আছেন। মন্ত্রিত্ব, সিকিউরিটি, গাড়ি চাই এটাই ওনার লক্ষ্য।'
প্রত্যুত্তরও দিতে ছাড়েননি বাবুল। তিনি বলেন, ' আমার যেটা মনে হয়েছে, সেটা আগেই জুলাইয়ে করে দেখিয়েছি। বিজেপিতে এরকম অনেকে আছেন, যাঁদের ওই কাজটা করে দেখানো উচিত, নির্লজ্জভাবে পদ আঁকড়ে না থেকে !'
মন্ত্রিত্ব পাওয়ার লোভে তিনি ভোটে লড়ছেন, এই মন্তব্য করে বাবুলকে আক্রমণ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে সেই মন্ত্রিত্বের ইস্যুকেই হাতিয়ার করলেন বালিগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী। ২০১৫-তে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। বর্তমানে যিনি অসমের মুখ্যমন্ত্রী। ২০২০-তে একই পথে হাঁটেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে বাবুল বলেন, 'ওঁরা দলবদল নিয়ে তো বলবেই, এটা যদি এতবড় অন্যায় হয়, উত্তর-পূর্বের হেমন্ত বিশ্বশর্মা বলুন, রাজ্যসভার এতজন কংগ্রেস থেকে আনা হয়েছে, আমার বন্ধু জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আছেন। তাঁদের একযোগে পদত্যাগ করা উচিত, তাই কেউ যখন কিছু বলবে, তাঁদের নিজেদের মুখ আয়নায় দেখা উচিত।'
পাল্টা দিলীপ ঘোষ বলেন, ' সাংসদ থাকাকালীন কোনও কাজই করেননি বাবুল। কাজের মধ্যে কাজ, মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে ঝালমুড়ি খেয়েছেন, তার ফল আজ তিনি ভোগ করছেন ।
আলিপুরের সার্ভে বিল্ডিংয়ে জেলা নির্বাচনী অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দেন বাবুল সুপ্রিয়।