কলকাতা : শুক্রবার বিয়ে সেরেছেন। একেবারে আড়ম্বরহীন ভাবেই চারহাত এক করতে চেয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু মজুমদার। কিন্তু শুভাকাঙ্খীদের আনাগোনা ও সংবাদমাধ্যমের ভিড় তো ছিলই। তারপরদিন থেকেই তিনি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে। আর রিঙ্কু মজুমদার সামলাচ্ছেন সংসার আর শাশুড়ি-মাকে। তবে আদতে বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী রিঙ্কু মঙ্গলবারই বুঝিয়ে দিলেন স্বামীর রাজনৈতিক মিশনে তিনি থাকছেন, কাঁধি কাঁধ মিলিয়েই। এদিন স্বামী ও শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে পুজো দিতে। বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দিলেন, তিনি মায়ের কাছে বাংলার মানুষের মঙ্গল চেয়েছেন...চেয়েছেন গণতান্ত্রিক উপায়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পতন হোক। আগাগোড়া রিঙ্কু মজুমদারের কথায় রাজনৈতিক বার্তা।
দিলীপ ঘরণীর প্রার্থনা রাজ্যের মানুষের জন্য
দিলীপ ঘরণী বললেন, সবার প্রথম প্রার্থনা করলাম পশ্চিমবঙ্গের মানুষের স্বার্থে, অশুভ শক্তির বিনাশ হোক। সেই সঙ্গে রিঙ্কুর উল্লেখ তিনি নাকি চেয়েছেন, তাঁরা যেন পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক ভাবে অশুভ শক্তির সঙ্গে লড়তে পারেন। সেই সঙ্গে যেন রাজ্যে যেন বিজেপি প্রতিষ্ঠা পায়। সবাই মিলে যাতে জনকল্যাণের স্বার্থে রাজনৈতিক ভাবে সরকারের পতন ঘটাতে পারেন। দিলীপ ঘোষও সহধর্মিনীর সুরে সুর মিলিয়েই বললেন, তিনিও সকলের ভাল থাকার জন্যই প্রার্থনা করেছেন। বাংলার শান্তি চেয়েছেন।
দিলীপ ঘোষের প্রার্থনা কার জন্য
রিঙকু মজুমদার বিয়ের দিনই জানিয়েছিলেন, ২০১৩-য় তাঁর রাজনীতিতে আসা। দিলীপ ঘোষের কথাবার্তা ভাল লাগত ২০১৫-য় তিনি দলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই। 'প্রথম থেকেই আমার রাজনৈতিক মতাদর্শ বিজেপি। ২০১৩ থেকে বিজেপিটা করছি একদম গ্রাউন্ড লেবেল থেকে। আর, উনি ১৫-তে মনে হয় এসেছেন। ওঁনার কথাবার্তা শুনতাম, ভাল লাগত খুব। অনেককেই বলেছিলাম, ওঁনার সঙ্গে দেখা করিয়ে দেবেন, কেউ করায়নি।' দিলীপ ঘোষও জানান, তাঁদের রাজনৈতিক মতাদর্শে মিল আছে। 'মতাদর্শ তো আছে। উনি আমাদের দলের পুরনো কর্মী, ১২ সাল থেকে। আমি তো পরে বিজেপিতে এসেছি। আমি আসিনি, আমার কোনও কৃতিত্ব নেই। '
২০২১-এর পর থেকে সময়টা ভাল যায়নি দিলীপের। রাজ্য সভাপতির পদ হারান। গত লোকসভা ভোটে শেষ মুহূর্তে জেতা আসন থেকে সরিয়ে দেয় দল। সেখান থেকে জিততেও পারেননি। সেই কঠিন সময়ে দিলীপ ঘোষের পাশে ছিলেন রিঙকু। বুঝিয়েছিলেন পরিবারের প্রয়োজন। তাহলে কি এখন সংসার সামলানোর পাশাপাশি, রাজনৈতিক ময়দানের দিলীপের পাশে পাওয়া যাবে তাঁর সহধর্মিনীকে ? অনেকেরই প্রশ্ন মনে।