কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PM Awas Yojana) দুর্নীতির অভিযোগ। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) দ্বারস্থ বিজেপি (BJP)। জনস্বার্থ মামলা দায়ের পুরুলিয়া (Purulia) জেলা বিজেপি সভাপতি বিবেক রাঙ্গা-র। উপযুক্ত তদন্ত চেয়ে দায়ের মামলা। টাকা বিতরণের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দায়ের জনস্বার্থ মামলা। পুরুলিয়া জেলায় প্রাপকদের তালিকায় ব্যাপক গরমিল, অভিযোগ বিজেপির। ন্যায্য প্রাপকদের বঞ্চিত করে অবৈধ প্রাপকদের নাম তালিকায় বলে অভিযোগ।
আবাস-দুর্নীতির অভিযোগে এবার দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) নিশানায় বিডিও (BDO)-রা। তিনি বলেন, 'পঞ্চায়েতগুলো (Panchayat) চোরেদের আখড়া তৈরি হয়েছে। আর বিডিও অফিস ঘুঘুর বাসা, বিডিও-রা সবথেকে বড় ডাকাত। সন্ধে হলে তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে বিডিও-রা বাটোয়ারা করে। বাংলার সব বিডিও অফিস ঘেরাও করা হবে', হুঁশিয়ারি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
অন্যদিকে, আবাস-দুর্নীতির তদন্তে মানুষ চাইবে সিবিআই (CBI), মন্তব্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের। 'শিক্ষক দুর্নীতির ক্ষেত্রেও মানুষ চেয়েছিল বলেই আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। আবাস দুর্নীতিও শিক্ষক দুর্নীতির থেকে কোনও অংশে কম নয়। মানুষ চাইবে আবাস দুর্নীতিতেও সিবিআই তদন্ত হোক', মানুষ যা চাইবে আমাদেরও তাই চাইতে হবে, মন্তব্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের।
তবে কেবল দিলীপ ঘোষ নয়, দোতলা বাড়ির মালিক আবাস যোজনার সুবিধা পেলে বিডিও-র চাকরি থাকবে না। হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বাঁকুড়ার তালডাংরার তৃণমূল বিধায়কও।
আরও পড়ুন, 'বন্দে ভারতে যারা পাথর ছুড়েছে তাদের দিন ঘনিয়ে এসেছে', হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ। তা নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে সরগরম রাজ্য। বঞ্চনা, স্বজনপোষণ, সমীক্ষায় বেনিয়ম- আবাস যোজনায় প্রতিদিনই সামনে আসছে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ। তা নিয়ে জেলায় জেলায় আছড়ে পড়ছে বিক্ষোভ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল রাজ্যের শাসদকদল তৃণমূলের দিকে। এমন একটা আবহে আবাসে দুর্নীতির জন্য ঘুরিয়ে আমলাদেরই কাঠগড়ায় তুললেন বাঁকুড়ার তালডাংরার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, "গরিব মানুষ ঘর পাক, এটা আমরা চাই। কোনও দোতলা ঘরের মালিক যদি ঘরের টাকা পায়, সেই বিডিও-র চাকরি থাকবে না। আমি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সেই অফিসারের বিরুদ্ধে দোতলা ঘরের মালিককে বাড়ি দিয়েছে বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তাকে সরকারি পদ থেকে আমরা তাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।"
বিডিও-কে হুঁশিয়ারি নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।