প্রাথমিকে ৩ হাজার ৬০০ ওএমআর পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত পর্ষদের। ১১ ডিসেম্বর টেট, এবার প্রায় দেড় লক্ষ উত্তীর্ণ, রেজাল্ট নিয়ে অসন্তোষ
আবেদনের ভিত্তিতে ওএমআর শিট পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। এক সপ্তাহের মধ্যে পুনর্মূল্যায়নের ফলাফল, জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে গ্রুপ সি (Group C) চাকরিচ্যুতদের তালিকায় নাম আরও এক শাসক নেতার আত্মীয়র (Relative Of TMC Leader)। ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি প্রাপকের তালিকায় নাম থাকার জেরে চাকরি গেল বাঁকুড়ার বিকনা গ্রামের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ভাইপো বাপি বাউড়ির। ২০১৭-য় কাঞ্চনপুর হাইস্কুলে গ্রুপ সি পদে যোগ দেন বাপি বাউড়ি। চাকরিচ্যুতদের তালিকায় বাপি বাউড়ির নাম ১১৯ নম্বরে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত বাপি। যদিও চাকরি হারানোর পর থেকে দেখা নেই বাপি বাউড়ির ভাইপোর চাকরিতে কোনও প্রভাব খাটাননি বলে দাবি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের। শুধু বাঁকুড়ার বিকনা গ্রামের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ভাইপোই নন। তালিকায় রয়েছে তৃণমূলের আরও অনেকে। এ নিয়ে কার্যত উত্তেজনা ছড়িয়েছিল চলতি সপ্তাহের শুরুতেই।
ভেল্কিবাজি নাকি?
কারও শূন্য হয়ে গিয়েছে ৫৪, কারও ১ হয়ে গিয়েছে ৫৬। এ যেন পুরোপুরি ভেল্কিবাজি! এসএসসি গ্রুপ সি নিয়োগে এমনই ভয়াবহ দুর্নীতি সামনে এসেছে এদিন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুসারে ওএমআর শিটে নম্বর সংক্রান্ত গোলমাল রয়েছে এমন ৩ হাজার ৪৭৮ জন পরীক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি। কতজন পরীক্ষার্থীর কত নম্বর বাড়ানো হয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশে তালিকা প্রকাশ কমিশনের। তা সামনে আসতেই কার্যত চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। কারণ তালিকার ছত্রে ছত্রে 'দুর্নীতি'। কারও আসল পরীক্ষায় জুটেছে ১, সেটা হয়ে গিয়েছে ৫৪। কারও আবার আসল পরীক্ষায় জুটেছে শূন্য, সেটা হয়ে গিয়েছে ৫৬। এমনই ভূরি ভূরি উদাহরণ ছড়িয়ে রয়েছে ওই তালিকায়।
মোট ৩ হাজার ৪৭৮ জনের মধ্য়ে ৩ হাজার ৩০ জনেরই নম্বর দেদার বাড়ানো হয়েছে। ওই পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়ে আসলে যা নম্বর পেয়েছেন, তার থেকে অনেক অনেক বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে প্রকাশিত omr sheet-এ। তার জেরে মিলেছে চাকরি, ইতিমধ্যে দাপিয়ে চাকরিও করছেন তাঁরা।
অবশ্য সবার নম্বর বাড়েনি। তালিকায় ৩০৩১-৩৩৯২ ক্রমসংখ্যায় যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ও ওএমআর নম্বর এক। আবার, তালিকার ৩৩৯৩ থেকে শেষ পর্যন্ত যাঁদের ক্রমসংখ্যা, তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর থেকে ওএমআর শিটের নম্বর অনেকটাই কম।