পূর্ব মেদিনীপুর: সমুদ্র ভালোবাসেন ? ঘুরে আসুন তাহলে পূ্র্ব মেদিনীপুর (East Midnapore)। সালটা ২০০২। পয়লা জানুয়ারি অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার তমলুক, হলদিয়া, কাঁথি এবং এগরা নিয়ে পূ্র্ব মেদিনীপুর জেলা গঠিত হয়। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে এই অঞ্চলের ভূমিকা অত্যন্ত উজ্জ্বল। কৃষি ও শিল্পে তো এগিয়ে বটেই, পর্যটনেও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে। সবথেকে বড় কথা বাঙালি আর কোথাও ঘুরুক না ঘুরুক, ৪ অন্যতম স্থানের একটি এখানেই রয়েছে। তা হল দিঘা (Digha)। তবে পূর্ব মেদিনীপুর এলে আপনি আরও একাধিক জায়গায় মন ভরে তাজা হাওয়া নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন। চলুন তাহলে বেরিয়ে পড়া যাক কলকাতা থেকে হাওড়া হয়ে ট্রেনে কিংবা বাসে পূ্র্ব মেদিনীপুরের ভ্রমণস্থলের অলিতে গলিতে।


তমলুক


তমলুক পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সদর। এটি রুপনারায়ণ নদীর তীরে অবস্থিত। এখানে ১১৫০ বছরের একটি প্রাচীন কালী মন্দির আছে। এটি ৫১ পিঠের মধ্যে একটি। পাশাপাশি এখানে পাঁশকুড়া ফুল চাষের জন্য বিখ্যাত পৌর শহর।


মহিষাদল


মহিষাদল তমলুক থেকে ১৬ কিমি দূরে অবস্থিত। এখানে মহিষাদল রাজবাড়ি এবং যাদুঘর পরিদর্শন করতে যেতে পারেন। তিনটি নদীর সংযোগ স্থলেই আছে গেঁওখালি । এখানে অনেকেই পিকনিক করতে যান।


দিঘা


দিঘা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমুদ্র সৈকত শহর। আপনি এখানে সমুদ্রে চান করে আনন্দ পাবেন। খাওয়া দাওয়াও এখানে চমৎকার। সমুদ্র তাজা মাছ এখানে রানা করে বা ফ্রাই করে দেওয়া হয়। এখানে ডাবের জলও খুব সুন্দর।


মন্দারমণি


মন্দারমণি হল কালিন্দি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে বঙ্গোপসাগরের তীরে একটি ছোট সমুদ্র সৈকত। পাশাপাশি ছোট মৎস বন্দর। তবে এখানে অনেকেই সমুদ্র স্নান তেমন বিশেষ না করলেও দিঘার ভিড় এড়িয়ে সমুদ্রের স্বাদ নিতে যান।


হলদিয়া


পূর্বমেদিনীপুরে একটি শহর হলদিয়া। হলদি এবং হুগলি নদির মুখোমুখি কলকাতা থেকে প্রায় ৫০ কিমি দক্ষিণে পশ্চিমে অবস্থিত। এটি কলকাতার জন্য প্রধান বাণিজ্য বন্দর হিসাবে উন্নত করা হচ্ছে। এখানে হোটেল পেতে কোনও অসুবিধা নেই। 


শঙ্করপুর


দিঘা থেকে ১৪ কিমি পূর্বে রয়েছে এই শঙ্করপুর। এখানে মূলত মাছ ধরে নিয়ে আসা হয়। শঙ্করপুরের প্রাকৃতিক শোভাও বেশ সুন্দর। আপনি এখানেও থাকার জন্য হোটেল পাবেন।


তাজপুর


দিঘার ঠিক ১৬ কিমি আগেই লুকিয়ে রয়েছে ভারতের অন্যতম সুন্দর এই সমুদ্রসৈকট। প্রতিবছর এখানে অনেকেই সপরিবারে, বন্দুরা ঘুরতে আসেন। 


মুক্তিধাম


এখানে রয়েছে বিবেকানন্দ মিশন আশ্রমের মুক্তিধাম মন্দির। কলাবতী ফুল, গাছগাছালিতে ঘেরা এই সাদা মন্দিরে ঢুকলে আফনি শান্তি পাবেন।


জুনপুত


দিঘার ৪০ কিমি দূরে রয়েছে জুনপুত। রাজ্য সরকারের ফিশারি দফতর রয়েছে এখানে। আপনি এখান থেকেও ঘুরে আশতে পারেন।


আরও পড়ুন, শিল্প-ব্যস্ত জেলা, তার ফাঁকেই পশ্চিম বর্ধমানে লুকিয়ে প্রকৃতি-ইতিহাস


কীভাবে যাবেন ?


কলকাতা থেকে আপনি হাওড়া হয়ে আসতে পারেন। হাওড়ায় ভোরের দিকে পর পর বাস ছাড়ে দিঘায় আসার। পাশাপাশি আপনি ট্রেনে করেও পৌঁছে যেতে পারেন। তবে বিভিন্ন জেলা থেকেও কিছু নির্দিষ্ট বাস ভায়া হাওড়া হয়ে দিঘা পৌঁছে দেবে।


তথ্যসূত্র:  www.wbtourism.gov.in