আবির দত্ত, কলকাতা: প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় মেট্রোপলিটনে (Metropolitan Area) চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যু (Doctor Mysterious Death)। পাঁচতলার ফ্ল্যাট  থেকে পড়ে মৃত্যু হয় চিকিৎসকের। চিকিৎসকের স্ত্রী সেসময় ছিলেন সল্টলেকে। ফ্ল্যাটে ছিলেন চিকিৎসকের এক বান্ধবী। আত্মহত্যা নাকি তাঁকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছে ? মৃত্যুর নিশ্চিত কারণ জানতে তদন্তে পুলিশ। চিকিৎসকের বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।


রহস্যমৃত্যু ব্যারাকপুরে...
গত মাসে ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় একটি ফ্ল্যাট থেকে চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে হইচই পড়ে যায়। প্রজ্ঞাদীপা হালদার নামে বছর ৩৭-এর ওই চিকিৎসকের বাড়ি বারাসাতে। তিনি ছোট জাগুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, সোশাল মিডিয়ায় আলাপ হওয়ার পর এক সেনা কর্তার সঙ্গে ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্টের ওই ফ্ল্য়াটে লিভ-ইন করতেন প্রজ্ঞাদীপা।মৃত চিকিৎসকের পরিবার ওই সেনা কর্তার বিরুদ্ধে ব্যারাকপুর থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করে। দিনদুয়েক পরে গ্রেফতার হন অভিযুক্ত। এর আগে পুরুলিয়ায় একই ধরনের রহস্যমৃত্যুর ঘটনা ঘটে।


আগে মৃত্যু পুরুলিয়ায়...
বছর দুয়েক আগে পুরুলিয়ার বরাবাজারের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক মহিলা চিকিৎসকের পচাগলা মৃতদেহ। সেই দেহ উদ্ধার ঘিরেও তুমুল হইচই শুরু হয়। পুলিশ জানায়, ওই চিকিৎসকের ঘর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে হাসপাতালের কর্মী ও এলাকাবাসী থানায় খবর দিয়েছিলেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তালাবন্ধ কোয়ার্টার থেকে মহিলা চিকিৎসকের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার নিয়েই শুরু হয় তরজা। আত্মঘাতী হয়েছেন না পরিকল্পিত খুন, চিকিৎসকের মৃত্যু নিয়ে ওঠে নানা প্রশ্ন। প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন সুচিত্রা। স্বাস্থ্যকেন্দ্র লাগোয়া কোয়ার্টারেই থাকতেন তিনি। কিন্তু ঘটনার আগে বেশ কিছুদিন ধরেই কোয়ার্টারের দরজা বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় স্থানীয়দের।  


সে বার পুরুলিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিল দত্ত বলেছিলেন,  "বরাবাজারের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক এর কাছ থেকে জানতে পারি ওই হাসপাতালের চিকিৎসক সুচিত্রা সিং এর মৃতদেহ হাসপাতাল কোয়াটার থেকে উদ্ধার হয়েছে। ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা প্রথম বিষয়টি বারাবাজার থানায় জানায়। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পরে বিস্তারিত জানা যাবে।" মানবাজারের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রহুল পান্ডে জানান, "হাসপাতালে কোয়াটার থেকে  এদিন বাইরে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। হাসপাতাল কর্মীদের  এবং সাধারণ মানুষের বিষয়টিতে সন্দেহ হয়। তাঁরা বিষয়টি পুলিশকে জানান। পরে ওই মহিলা চিকিৎসকের সরকারি আবাসনের তালা ভেঙ্গে পুলিশ ভেতরে ঢোকে। আবাসন থেকে  এক মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।  মৃতদেহের ময়না তদন্তের পরই বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।"     


আরও পড়ুন:ভোটে গণ্ডগোলের জেরে অভিযুক্তদের জেল হেফাজতে পাঠিয়ে বিপাকে বিচারক, দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে চাঞ্চল্য