সন্দীপ সরকার, কলকাতা: বাংলায় প্র্যাকটিস করতে হলে এ রাজ্যের রেজিস্ট্রেশন নম্বর লাগবে। ভিনরাজ্যের সমস্ত চিকিৎসকদের রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে নাম নথিভুক্ত করা বাধ্যতামূলক, এই মর্মে এবার নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। নির্দেশিকায় উল্লেখ, স্থায়ী প্র্যাকটিস ছাড়াও, নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্য রাজ্য থেকে বাংলায় এসে ভিজিটিং চিকিৎসক হিসেবে রোগী দেখতে হলেও এবার থেকে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। এমনকি, উচ্চশিক্ষা বা পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করতে ভিনরাজ্য থেকে যে সমস্ত ডাক্তারি পড়ুয়া এ রাজ্যে আসবেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও নিজেদের নাম রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে নথিভুক্ত করা বাধ্যতামূলক। তিন মাসের মধ্যে নাম নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। 


কেন এই নির্দেশিকা?
মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে জারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এই রাজ্যে প্র্যাকটিস করতে হলে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। অর্থাৎ বাংলার রেজিস্ট্রেশন নম্বর থাকতে হবে। ভিন রাজ্যের যে সমস্ত চিকিৎসক, নির্দিষ্ট সময় অন্তর এই রাজ্যে আসেন, তাঁদেরও এই রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিলে নাথ নথিভুক্ত করতে হবে। তা ছাড়া, উচ্চশিক্ষার জন্য যে ডাক্তারি পড়ুয়ারা এই রাজ্যে আসছেন, তাঁদের জন্যও এই নিয়ম বাধ্যতামূলক। সূত্রের খবর, চিকিৎসায় গাফিলতির কোনও অভিযোগ রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে জমা পড়ার পর যদি দেখা যায় অভিযুক্ত চিকিৎসকের ভিন রাজ্যের রেজিস্ট্রেশন রয়েছে, তা হলে তখন সেই চিকিৎসক কাউন্সিলের এক্তিয়ারে থাকে না। সেই ভিন রাজ্যের রেজিস্ট্রেশন নম্বর থাকা ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অবকাশ থাকে না। তাই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত, এই রাজ্যে যে ডাক্তাররা প্র্য়াকটিস করেন, তাঁদের বাংলার রেজিস্ট্রেশন নম্বর থাকতে হবে। তাঁদের যদি ভিন রাজ্যের রেজিস্ট্রেশন নম্বর থাকে, তা হলে পাশাপাশি এই রাজ্যের রেজিস্ট্রেশন নম্বরও নিয়ে নিতে হবে। দুটি নম্বরই তাঁরা ব্যবহার করতে পারেন, কোনও অসুবিধা নেই। ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। দ্রুত এই মর্মে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তিও জারি হবে বলে খবর। প্রসঙ্গত, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এই রাজ্যে কম নয়। গত মাসেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ আনেন ২৩ বছরের যুবকের পরিবার।


কী হয়েছিল?
এই ঘটনায়, কলকাতা মেডিক্যালের অঙ্কোলজি বিভাগে চিকিৎসা চলছিল বছর ২৩-এর দীপঙ্কর পালের। তাঁর মৃত্যুর পর চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পরিবার। অভিযোগ জানিয়েছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। এরপর একমাসেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে, পরিবারের অভিযোগ অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। আর তা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন মৃত যুবকের মা ও বাবা।   


আরও পড়ুন:হঠাৎ অসুস্থ মিঠুন চক্রবর্তী, ভর্তি অ্যাপোলো হাসপাতালে