কলকাতা : রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রেখে জল ছাড়ার অভিযোগ তুলে, বারবার DVC-কে নিশানা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। কখনও টানা ঘণ্টা পাঁচেকের বৃষ্টিতে পুজোর মুখে কলকাতা ডুবে যাওয়া কখনও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়া বারবার মুখ্য়মন্ত্রীর নিশানায় ডিভিসি। কিন্তু সত্যিই কি রাজ্য কে অন্ধকারে রেখে এভাবে জল ছাড়ে ডিভিসি? সেই সম্ভাবনা এক্কেবারে উড়িয়ে দিলেন দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের প্রাক্তন আধিকারিক সমীর কুমার মাঝি।

Continues below advertisement

এবিপি আনন্দ-র স্টুডিওয় বসে সবিস্তার পদ্ধতি ব্যাখ্যা করলেন তিনি। বললেন, 'আমাদের মাননীয় অভিযোগ করেন যে DVC না জানিয়ে জল ছেড়েছে এই অভিযোগটা হাস্যকর , অবাস্তব এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' । তিনি বলেন, কীভাবে জল ছাড়ার আগে যৌথ বৈঠকে বসে ডিভিসি ও রাজ্য।  দামোদর ভ্যালি রিজার্ভার রেগুলেশন কমিটি বলে একটা কমিটি আছে । সেখানে পশ্চিমবাংলার প্রতিনিধি থাকেন একজন, ঝাড়খণ্ডের প্রতিনিধি থাকেন,   সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের একজন থাকেন আর ডিভিসির প্রতিনিধিও থাকেন। সেখানে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়। তারপর সুনির্দিষ্ট একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সব তথ্য ভাগ করে নেওয়া হয়। সেখানে উচ্চপদস্থরা তো থাকেনই, রাজ্যের প্রতিনিধিও থাকেন। এরপর ই-মেল দিয়ে রাজ্যে মুখ্যসচিবকে অবহিত করা হয়। এছাড়া ডিভিসির ওয়েবসাইটে বন্যা ইপশনে ক্লিক করলে সাধারণ মানুষও জানতে পারবেন ডিভিসি কখন কত জল ছাড়ছে । সেই জল কখন কোথায় পৌঁছবে। 

 দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের প্রাক্তন আধিকারিক সমীর কুমার মাঝির দাবি, ড্রেজিং পৃথিবীর কোনও ড্যামেই করা হয় না, ভার তে তো নয়ই। ডিভিসি-র বাঁধি তিনটি লেভেল রয়েছে। এর মধ্যে ডেড স্ট্রোরেজ লেভেলটি রয়েইছে আপার ভ্যালি থেকে পলি অ্যারেস্ট করার জন্য। সেখানে যদি ড্রেজিং করা হয়, তাহলে যেই প্রথম বর্ষা এল, সেটা তো ভর্তি হয়ে যাবে। তাহলে কী হবে ড্রেজিং করে?  

Continues below advertisement

এর আগেও বারবার মুখ্যমন্ত্রীর তোলা অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে DVC। সূত্রের খবর, বর্তমানে DVC-র যে বোর্ড রয়েছে সেখানে পশ্চিমবঙ্গের তরফে রয়েছেন রাজ্যের বিদ্যুৎ সচিব শান্তনু বসু। অন্যদিকে, ৮ সদস্যের দামোদর ভ্যালি রিভার রেগুলেটরি কমিটি বা DVRRC-তে রাজ্য সেচ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন। DVC-র তরফে দাবি, জল ছাড়ার ১২ ঘণ্টা আগে জলাধারের পরিস্থিতির বিস্তারিত তথ্য দিয়ে তারপর জল ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু এরপরও DVC-র ওপর ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে তৃণমূল। শুক্রবার আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের নেতৃত্বে ঝাড়খণ্ডে পাঞ্চেত বাঁধের কাছে DVC-র অফিসের কাছে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল।