প্রকাশ সিন্হা, কলকাতা: গ্রেফতারির পর যুব তৃণমূল নেতা (TMC Leader) কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) মুখে শোনা গিয়েছিল গোপাল দলপতির (Gopal Dalapati) নাম। কিন্তু, এই দুর্নীতিতে কি গোপালের কোনও ভূমিকা আছে? নাকি কারও নাম আড়াল করতে কৌশলে জেলবন্দি গোপালের নাম ভাসানো হচ্ছে? ধোঁয়াশা কাটাতে জেলে গিয়ে গোপালকে জেরা করতে চায় ইডি (ED)।
নজর ঘোরানোর কৌশল?
গোপাল দলপতি, নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় আচমকাই সামনে এসেছে এই নাম। আর নামটা সামনে এনেছেন ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া যুব তৃণমূলের সম্পাদক কুন্তল ঘোষ। কিন্তু, গোপাল দলপতি কি আদৌ এই দুর্নীতির কোনও গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক? নাকি তাঁর নাম সামনে এনে নজর ঘোরানোর চেষ্টা হচ্ছে? এই প্রশ্নও মাথাচাড়া দিচ্ছে বিভিন্ন মহলে।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর, যুব তৃণমূলের রাজ্য় সম্পাদক কুন্তল ঘোষের মুখে দুটো নাম শোনা গেছিল। যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এবং গোপাল দলপতি। এর মধ্য়ে শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। এবার ইডি-র নজরে গোপাল! যাঁর নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন ধৃত যুব তৃণমূলের সম্পাদক কুন্তল ঘোষ। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে এর আগে 'গোপাল দলপতি কে' জিজ্ঞেস করা হলে তাঁর জবাব, 'খোঁজ করে দেখুন। গোপাল দলপতি, ইনি তাপস মণ্ডলের লোক। যিনি আমার কাছে প্রায় ৬০ লাখ টাকা নিয়েছিল। ৫০ লাখ টাকা এক্সটরশন মানি দাবি করেছে তাপস মণ্ডল, তার কল রেকর্ডিং সিবিআইকে দেওয়া আছে।'
গোপাল দলপতি ইতিমধ্য়েই চিটফান্ড মামলায় তিহাড় জেলে বন্দি। এই প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, গোপাল দলপতি সম্পর্কে কুন্তলের দাবি কি আদৌ সত্য়ি? নিয়োগ দুর্নীতিতে কি গোপাল দলপতির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে? নাকি জেলবন্দি গোপালের নাম ভাসিয়ে দেওয়াটা কোনও কৌশল? কারও নাম আড়াল করতে কি গোপাল দলপতির নাম সামনে আনা হচ্ছে? এটা কি নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার কোনও কৌশল?
আরও পড়ুন: Hiran Meets Suvendu : দল বদলের জল্পনার মধ্যেই শুভেন্দু-সাক্ষাৎ হিরণের, কী নির্যাস বৈঠকের ?
ইডি মনে করছে, একমাত্র গোপাল দলপতিকে জেরা করা গেলেই এই ধোঁয়াশা কাটবে। ইডি সূত্রে দাবি, গোপালকে জেরার জন্য় তাদের তরফে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। দিল্লির সাকেত কোর্টে এই মর্মে আবেদন জানানো হবে। ইতিমধ্য়ে পুরো বিষয়টা জানিয়ে কলকাতার অফিস থেকে দিল্লিতে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।
এর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থানার কসবা গ্রামে গোপালের বাড়িতে পৌঁছলে, পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, গোপালের সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগাযোগই নেই। গোপাল দলপতির বাবা কালীপদ দলপতি বলেন, 'আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখত না।' গোপালকে জেরায় কী উঠে আসে, আপাতত সবার নজর সেদিকে।