আবীর দত্ত, পার্থপ্রতিম ঘোষ , দীপক ঘোষ, কলকাতা :



  • সাংবাদিক: পার্থদা কিছু বলবেন?

  • পার্থ চট্টোপাধ্যায়: সবাই ভাল থাকুন। সবাই ভাল থাকুন। দলের সঙ্গে আছি।  একশোবার আছি। 


পার্থ চট্টোপাধ্যায় ( Partha Chatterjee ) সম্পর্কে সম্প্রতি সৌগত রায় ( Sougata Roy ) বলেন, তিনি দলের বিড়ম্বনা। সতীর্থ সৌগত রায়ের ‘বিড়ম্বনা’ মন্তব্যের জবাব দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বললেন, ' সবাই ভাল থাকুন। দলের সঙ্গে আছি।' অন্যদিকে, এদিন আদালতের ভিতরে তিনি বলেন, ' ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাকে বাঁচতে দিন। '                                                          

সৌগর বাণ
সম্প্রতি পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে সৌগত রায় মন্তব্য করেন, ‘‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে স্তূপীকৃত নগদ টাকা উদ্ধার হতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু মানিকের ক্ষেত্রে টাকা পাওয়া যায়নি। অনুব্রতের ক্ষেত্রেও মোটা পরিমাণ টাকা দেখা যায়নি '' 


                                                                                                                        


দল কি পার্থর সঙ্গে আছে?
এই প্রেক্ষাপটে সোমবার তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সৌগত রায়ের মন্তব্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা মাত্র তিনি বলেন, দলের সঙ্গে আছি। কিন্তু রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, পার্থ দলের সঙ্গে থাকলেও, দল কি পার্থর সঙ্গে আছে? প্রশ্নটা উঠছে তার কারণ, তৃণমূলের বিশেষ কয়েকটি সিদ্ধান্ত! পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের পর পার্থ’র মন্ত্রিপদ কেড়েছে দল। মহাসচিবের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। দলের সব পদ থেকে সাসপেন্ড করেছে। কিন্তু, গরু পাচার অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরও বীরভূমের জেলা সভাপতি পদে তাঁকে বহাল রেখেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য গ্রেফতার হওয়ার পরও, তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি চিটফান্ড মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরও, রাজু সাহানিকে অবধি হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরায়নি তৃণমূল। অর্থাৎ পার্থর ক্ষেত্রে কড়া, অনুব্রতদের ক্ষেত্রে নরম!