কলকাতা: টি-২০ বিশ্বকাপে আয়ার্ল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া। মঙ্গলবার সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টির শেষ আটের ম্যাচে নামছে বাংলা। খেলার দুনিয়ার সারাদিনের সব খবরের ঝলক।


অস্ট্রেলিয়ার জয়


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের টানা দ্বিতীয় জয় ছিনিয়ে নিল অস্ট্রেলিয়া। এবার আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪২ রানে জয় পেল অজিরা। টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আয়ারল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওপেনে নেমেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ। প্রথম জন ৩ রান করে ফিরে গেলেও ফিঞ্চ ও মার্শ মিলে দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যাওয়া শুরু করেন। 


অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ এদিন ৪৪ বলে ৬৩ রানের ঝোড়ো গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। ৫টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। ২৮ রানের ইনিংস খেলেন মিচেল মার্শ। লোয়ার অর্ডারে নেমে মার্কাস স্টোইনিস ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন। ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান বোর্ডে তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। 


জবাবে ব্য়াট করতে নেমে আয়ারল্যান্ডের ২ ওপেনার পল স্টার্লিং ও অ্যান্ড্রু বালবারিন বড় রান না পেলেও লরকান টকার অপরাজিত ৭১ রানের ইনিংস খেলেন। শেষ পর্যন্ত ১৮.১ ওভারে ১৩৭ রানে অল আউট হয়ে যায় আয়ারল্যান্ড।


বাংলার আপডেট


সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি ট্রফির (Syed Mushtaq Ali T20) কোয়ার্টার ফাইনালে মঙ্গলবার বাংলার সামনে হিমাচলপ্রদেশ (Bengal vs Himachal Pradesh)। যে ম্যাচে তিন স্পিনার দিয়ে বাজিমাত করতে চাইছে বাংলা। সেই সঙ্গে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নবাগত পেসার রবি কুমারকে ব্যবহারের ভাবনা রয়েছে বাংলা শিবিরের।


ম্যাচটি হবে সল্ট লেকে, টোয়েন্টি টু ইয়ার্ডস ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাঠে। অনেকে মনে করছেন, ইডেন বা কল্যাণীর মতো বড় মাঠে ম্যাচ না হওয়ায় প্রচুর রান উঠবে। অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে বোলারদের। যদিও বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল তা নিয়ে ভাবতে নারাজ। সোমবার প্র্যাক্টিসের শেষে লক্ষ্মীরতন বলছিলেন, 'ছোট মাঠ নিয়ে ভেবে লাভ নেই। ছোট মাঠ বড় মাঠ বলে কিছু হয় না। লখনউয়ে আমরা যেখানে গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলি খেলেছি, সেখানে আরও ছোট মাঠ ছিল। ছোট মাঠ বলে বেশি রান করা সহজ নয়।' লক্ষ্মী যোগ করেন, 'তাছাড়া আমরা যে মাঠে খেলব, হিমাচল প্রদেশকেও সেই মাঠেই খেলতে হবে। ফলে দুই দলের সামনে পরিস্থিতি একই থাকবে।'


দাদার বাজি


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) ভারতের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্তভাবে। প্রথম ম্যাচেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছিলেন রোহিত শর্মারা। দ্বিতীয় ম্যাচে ডাচ কাঁটাও উপড়ে ফেলেছিলেন অনায়াসে। কিন্তু পারথের গতিসম্পন্ন, বাউন্সি উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পরাজয় হজম করতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে (Team India)।


যদিও একটা হারে উদ্বেগের কিছু দেখছেন না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সদ্যপ্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সোমবার বাইপাসের ধারে এক অভিজাত হোটেলে সিএবি-র বার্ষিক সাধারণ সভায় গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'একটা হার কোনও ব্যাপার নয়। এখনও অনেক খেলা বাকি।' সেখানেই থেমে না থেকে ভারতকে সম্ভাব্য ফাইনালিস্ট হিসাবেও বেছে নিয়েছেন সৌরভ। বলেছেন, 'ভারতকে ফাইনালে দেখছি।'


জাডেজার প্রত্যাবর্তন


তিনি এশিয়া কাপের (Asia Cup) দলে ছিলেন। কিন্তু টুর্নামেন্ট চলাকালীন রহস্যজনকভাবে তাঁর হাঁটুতে চোট লাগে। অনেকে বলেছিলেন, ওয়াটার স্পোর্টসে নেমে তাঁর হাঁটুতে চোট লেগেছে। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে, রবীন্দ্র জাডেজার (Ravindra Jadeja) হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করতে হয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেও ছিটকে গিয়েছিলেন সৌরাষ্ট্রের অলরাউন্ডার।


অবশেষে সুখবর ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য। জাতীয় দলে ফিরলেন জাডেজা। তবে এখনই মাঠে নামছেন না তিনি। ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সফরে যাবেন জাডেজা। তাঁকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট ও ওয়ান ডে সিরিজের দলে রাখা হয়েছে। সোমবারই যা ঘোষণা করলেন প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা।


সিএবি-র এজিএম


সিএবি প্রেসিডেন্ট (CAB President) হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার দিনই ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha) ও সুদীপ চট্টোপাধ্যায়কে (Sudip Chatterjee) বাংলায় ফেরানোর কথা শোনালেন স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় (Snehasish Ganguly)।


সোমবার বাইপাসের ধারে একটি হোটেলে সিএবি-র বার্ষিক সাধারণ সভা ছিল। সেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিএবি প্রেসিডেন্ট হলেন স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। সহ সভাপতি হলেন অমলেন্দু বিশ্বাস। সিএবি-র নতুন সচিব হলেন নরেশ ওঝা। কোষাধ্যক্ষ হলেন প্রবীর চক্রবর্তী। যুগ্মসচিব থেকে গেলেন দেবব্রত দাস। অ্যাপেক্স কাউন্সিলে রয়েছেন মিন্টু দাস, মহাদেব চক্রবর্তী, দীপক কুমার সিংহ, মহেশ কুমার টেকরিওয়াল, নীরজ কুমার কাজারিয়া, সৃঞ্জয় বসু, কাঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, আলিফ পারভেজ, অর্ধেন্দু কুমার ঘোষ ও ড. সুদর্শন বিশ্বাস।


ক্ষুব্ধ বিরাট


ভীত, আতঙ্কিত সঙ্গে রাগে প্রবলভাবে ফুঁসছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ভারতীয় মেগাস্টারের অনুপস্থিতিতে তাঁর হোটেলের ঘরে ঢুকে, সেই ঘরের ও বিরাট কোহলির ব্যবহারের সমস্ত জিনিসের করা ভিডিও করা হয়েছে। তারপর সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিতেই তা হয়েছে ভাইরাল। পারথের নামী হোটেল ক্রাউন পারথের (Crown Perth) থাকাকালীন ঘটা যে ঘটনায় রীতিমতো হতবাক বিরাট। সোশাল সাইটে সেই ভাইরাল হওয়া ভিডিও শেয়ার করে নিজের চরম অস্বস্তির কথা উগরে দিয়েছেন তিনি। টি ২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup) মাঝে মাঠের বাইরের যে ঘটনা আপাতত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।