কলকাতা: আজ রঙের উৎসব। আবিরে-রঙে বসন্ত বরণ। প্রভাতফেরিতে ফাগুনের আবাহন। মাস্ক সরিয়ে আবিরে রাঙা হল মুখ। লাল-নীল-হলুদের সমারোহ। দোল উৎসবে মাতোয়ারা বাংলা। রঙের উৎসবে সামিল রাজনীতিবিদরাও। দোলে মাতলেন শশী, কল্যাণ, কৃষ্ণা। আবির খেললেন দিলীপ, সুভাষ। উৎসবে সামিল রাজনাথ, নকভি।
দোলের দিন অন্য মুডে দেখা গেল তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। দমদমের সেভেন ট্যাঙ্কসে নিজের পাড়ায় কাউন্সিলর স্ত্রীকে নিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে মাতলেন আবির খেলায়।
দোল খেলায় মাতলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও। এ দিন ল্টলেক সংস্কৃতি সংসদের উদ্যোগে সল্টলেকের বিএফ পার্কে বসে রেন ডান্সের আসর। ডিজে-র তালে রং খেলায় মেতে ওঠেন বাসিন্দারা।
অন্যদিকে দোলের দিন তাই মেয়ে ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটালেন সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি মৈত্র। চলল আবির খেলা। অন্য়ান্যদিন স্বামীর সময় কাটে জেলার প্রশাসনিক কাজে। স্ত্রী সামলান বিধানসভা কেন্দ্র। তবে আজ ব্যস্ততা ভুলে শুধু খুশির আমেজ।
নিউ আলিপুরে আবির খেলায় মাতলেন ১০ নম্বর বরোর চেয়ারপার্সন জুঁই বিশ্বাস। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে মেতে উঠলেন রঙের উত্সবে।
দোলের দিন অন্য মুডে মন্ত্রী শশী পাঁজা। নেননি সরকারি গাড়ি।হেলমেট পরে দলীয় কর্মীর স্কুটারে চেপে গিরিশ পার্কের বাড়ি থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে গেলেন শোভাবাজারের জয় মিত্র স্ট্রিটে। সেখানে মন্দিরে পুজো দেন মন্ত্রী। এরপর স্থানীয় ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে আবির খেলায় মেতে ওঠেন। কচিকাঁচাদের গানের সঙ্গে গলাও মেলান।
নৈহাটি পুরসভার নব নির্বাচিত পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় ও কাউন্সিলরদের নিয়ে বসন্তোত্সবে মাতলেন তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। নৈহাটির স্বপ্নবীথি পার্ক থেকে শুরু হয় পদযাত্রা। পা মেলান আট থেকে আশি সকলেই।
অন্যদিকে বাঁকুড়ায় RSS-এর অফিসে কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে আবির খেললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। ভারতমাতার পায়ে আবির দিয়ে রং খেলা শুরু হয়। বাংলায় অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে যোগী আদিত্যনাথের কাছ থেকে এনেছেন আবির, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর।তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। পুরভোটে জিততে পারেন না, উত্তরপ্রদেশে যান, এখানে কেন! কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জবাব তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি ও তালড্যাংরার বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীর।