সুনীত হালদার, হাওড়া : শুক্রবার দোল যাত্রা (Dol Utsav 2025) উপলক্ষে পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের ৬৫ টি   ই এম ইউ (লোকাল  ট্রেন) বাতিল থাকবে (Train Cancel)। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, এইসব ট্রেনগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই সকালের দিকে লোকাল ট্রেন (Local Train) রয়েছে।রেল সূত্রে আরও জানানো হয়, দোলযাত্রা উপলক্ষে ওইদিন সকালের দিকেই এই লোকাল ট্রেন গুলি বাতিল থাকবে। কোথা থেকে কোন অবধি, মোট কতগুলি ট্রেন বাতিল ? দেখুন একনজরে।

ট্রেন বাতিলের তালিকা

হাওড়া- বর্ধমান কর্ড লাইনে আপ এবং ডাউনে  ১৩ টি  

হাওড়া- বর্ধমান মেন লাইনে আপ এবং ডাউনে ৫ টি  

হাওড়া - ব্যান্ডেল আপ এবং ডাউনে ১৫ টি 

হাওড়া - শেওড়াফুলি আপ এবং ডাউনে ১০ টি  

হাওড়া - তারকেশ্বর আপ এবং ডাউনে ৮ টি 

হাওড়া- শ্রীরামপুর আপ এবং ডাউনে ৪ টি 

বর্ধমান - কাটোয়া আপ এবং ডাউনে ৪ টি 

নৈহাটি - ব্যান্ডেল আপ এবং ডাউনে ৬ টি লোকাল ট্রেন বাতিল থাকবে।

আরও পড়ুন, ২৬-এর ভোটে কি ভবানীপুরে মমতা বনাম শুভেন্দুর লড়াই?

প্রসঙ্গত, প্রায় দেড় দশক পর অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে জট কাটতে চলেছে গোঘাটের ভাবাদিঘি এলাকায় থমকে থাকা তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্পের। বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, আগামী তিন মাসের মধ্যে সমস্যার সমাধান করে রেল প্রকল্পের কাজ শুরু করতে হবে। ভাবাদিঘি নিয়ে জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এমনই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। এরপরই কবে রেল চালু হবে? তার আশায় দিন গুনতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। যদিও দ্রুত রেল প্রকল্পের কাজ শুরু করুক কিন্তু 'দিঘি বাঁচিয়েই রেল লাইন হোক' জানালেন, দিঘি বাঁচাও কমিটির সদস্যরা।

প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্পের ঘোষণা করেন। তারপর ধাপে ধাপে শুরু হয় রেল প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ ও পরবর্তীতে মাটি ফেলার কাজ। কিন্তু ২০১০ সালে গোঘাটের ভাবাদিঘি গ্রামে দিঘি জটে আটকে যায় রেললাইন তৈরির কাজ। ভাবাদিঘি গ্রামের মানুষের পক্ষ থেকে দাবি ওঠে গ্রামের ৫২ বিঘা দিঘিই জীবন জীবিকার অন্যতম ভূমিকা পালন করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। সেই দিঘি ভরাট করে রেললাইন করা যাবে না। দিঘির পাশের জমি দিয়ে রেল লাইন নিয়ে যাওয়া হোক বলে প্রথম থেকেই দাবি জানিয়ে আসছেন ভাবাদিঘির মানুষ।

এই দাবি নিয়ে বারেবারে আন্দোলনে নামতে দেখা যায় ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটিকে। তারকেশ্বর থেকে আরামবাগ ও পরে গোঘাট পর্যন্ত রেল পরিষেবা চালু হলেও ভাবাদিঘি জটে আটকে যায় রেল লাইনের কাজ। এবার হাইকোর্টের নির্দেশে কাটতে চলেছে সেই জট।একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট নির্দেশ দেন আড়াইশো জনের জন্য আড়াই লক্ষ মানুষের স্বার্থে আঘাত দেওয়া যাবে না। জটিলতা কাটিয়ে আগামী তিন মাসের মধ্যে রেল প্রকল্পের কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই নির্দেশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।