ওড়িশা: না আছে পর্যাপ্ত বাস, না আছে পর্যাপ্ত ট্রেন। ট্রেন চলাচল শুরু হলেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে এখনও সময় লাগবে আরও কয়েকটা দিন। এরই মধ্যে ওড়িশা থেকে ফিরতে কখনও দ্বিগুণ, কখনও তিনগুন দিতে হচ্ছে বাস ভাড়া। পুরী গিয়ে চরম বিপাকে বাংলার পর্যটকরা। বিমানের টিকিটের ক্ষেত্রেও একই পরিস্থিতি।


চরম বিপাকে বাংলার পর্যটকরা: শুক্রবারের রেল বিপর্যয়ের ঘটনার পর কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে ওড়িশা-বাংলা পরিবহণ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে বাঙালির দ্বিতীয় হোমটাউন পুরীতে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা। ২ দিন বন্ধ থাকার পর, ট্রেন চলাচল শুরু হলেও টিকিট নেই। বাসের ভাড়া আকাশছোঁয়া।গাড়ি যা ভাড়া চাইছে, তা সাধারণ মধ্যবিত্তের ধরাছোঁয়ার বাইরে। সুযোগ বুঝে, যেমন খুশি ভাড়া চাওয়া হচ্ছে পর্যটকদের থেকে। বাস ভাড়া পৌঁছেছে মাছাপিছু ২-৩ হাজার টাকায় এমনকি সরকারি বাসের ক্ষেত্রেও চাওয়া হচ্ছে বেশি ভাড়া। গাড়ি চাইছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা । এমনকি পুরীর হোটেলগুলিতেও লাগামছাড়া ভাড়া নেওযার অভিযোগ করছেন পর্যটকরা। পরিবার নিয়ে ঘুরতে গিয়ে বিপাকে বহু পর্যটক।

এই পরিস্থিতিতে, পুরী স্টেশনে সোমবার সকাল থেকেই থিকথিকে ভিড় পর্যটকদের।  শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার যাদের ফেরার কথা ছিল সেই সবকটি ট্রেনই বাতিল হয়েছে।সোমবার থেকে ট্রেন চালু হলেও তৎকালে এত টিকিট পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না টিকিটের ভাড়া ফেরত পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন অনেকেইএকাধিক হোটেলে চেক আউটের সময় নিয়েও বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা। পুরী স্টেশনের মতোই বাসস্ট্যান্ডেও দেখা গেল একই ছবি। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা থেকে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার বিমানের টিকিটও আকাশছোঁয়া। কখনও দ্বিগুণ, কখনও বা তিনগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে বিমানযাত্রীদের। কলকাতা থেকে ভুবনেশ্বর যেতে গুনতে হচ্ছে ১২,৫০০ টাকা। কর্মসূত্রে ভুবনেশ্বর আসতে দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হয়েছে কলকাতার বাসিন্দাকে। দুর্ঘটনার ৩ দিন পরও এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় দুর্ভোগে হাজার হাজার মানুষ।


ভয়াবহ দুর্ঘটনার রেশ কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বাহানাগা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত লাইনে শুরু হয়েছে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। রাত ১০টা ৪০-এ ডাউন লাইনে প্রথমে একটি মালগাড়ি চালানো হয়। আপ লাইনে প্রথম ট্রেন চালানো হয় রাত ১২টা ৫-এ। পরীক্ষামূলকভাবে আপ ও ডাউন লাইনে মালগাড়ি চালানোর পর, সকাল থেকে শুরু হয় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। হাওড়া থেকে সকাল ৬টা ১০-এ প্রথম ছাড়ে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এরপর হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস রওনা দেয়। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আজ থেকে হাওড়া-ভদ্রক রুটে সবকটি ট্রেনই চলছে। শুধুমাত্র হাওড়া-ব্য়াঙ্গালোর যশবন্তপুর দুরন্ত এক্সপ্রেসের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। বেলা ১০টা ৫০-এর পরিবর্তে হাওড়া থেকে দুপুর ৩টেয় ছাড়বে। 

আরও পড়ুন: Sugarcane Juice Benefits: গরম পড়লেই ভরসা আখের রসে? কতটা কাজে লাগে? আদৌও উপকার রয়েছে?