কলকাতা: শুধু সৌরভ চৌধুরী নন, যাদবপুরের (JU Student Death) পড়ুয়ামৃত্যুর নেপথ্যে আরও অনেক মুখ (Bigger Conspiracy) রয়েছে। দাবি বিশ্ববিদ্যালয়েরই আর এক পড়ুয়া জাহিদ খানের। কেন এমন মনে করছেন তিনি? কেন্দ্রে হস্টেলের ৬৮ নম্বর ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া একটি ডায়েরি ও তার মধ্যে থাকা একটি চিঠি যা আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (VIral Letter)।


কী রয়েছে?
ভাইরাল হওয়া চিঠিটি গত ১০ আগস্ট ডিনের উদ্দেশে লেখা হয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশের। প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট রাতে হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে গুরুতর জখম হয় যাদবপুরের পড়ুয়া। ১০ অগাস্ট ভোরে মৃত্যু হয় ছাত্রের। ভাইরাল হওয়া এই চিঠিতে তারিখও রয়েছে, ১০ অগাস্ট। তাহলে কখন লেখা হল এই চিঠি? ছাত্রের মৃত্যুর পর রাতারাতি কীভাবে ভাইরাল হল এই ডায়েরির পাতা? প্রথম খটকা এখানেই। 
সন্দেহ দানা বাঁধছে আরও কিছু জায়গায়। যেমন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া জাহিদের মতে, ' চিঠির ২টো পাতায় তিনরকম হাতের লেখা। মিল নেই। হঠাৎ করেই বা কেন সামনে এল? ঘটনাটাকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে না তো?' তাঁর ধারণা, শুধু সৌরভ চৌধুরী নন, পড়ুয়ামৃত্যুর পিছনে আরও অনেক মুখ রয়েছে। 


কী লেখা চিঠিতে?
ভাইরাল হওয়া চিঠিতে লেখা রয়েছে, 'সম্প্রতি, আমার বিভাগের এক সিনিয়র, রুদ্রদা বলে হস্টেলে পড়ুয়াদের সিনিয়রদের কিছু কাজ করতে হয়। তারা যদি তা অমান্য করে, তাদের ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।' বিষয়টি নিয়ে যাদবপুরের স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়া রুদ্র বলেন, 'তারিখটা দেখুন। ৯ তারিখ মারা গিয়েছে। ১০ তারিখ চিঠি লেখা হয়েছে। পুরোপুরি চক্রান্ত, এই ঘটনার সঙ্গে যারা মূল অভিযুক্ত তাদের আড়াল করার চেষ্টা চলছে।' এমনকি মৃত ছাত্রের পরিবারেরও দাবি, 'এই লেখা তাঁদের ছেলের হতে পারে না। অন্য কেউ লিখেছে। তাঁরা আরও জানান, রুদ্রর নামও কখনও শোনেননি।' পরিবারের দাবি, শনিবার পুলিশ তাঁদের এই চিঠি দেখায়। নমুনা হিসেবে পড়ুয়ার ইংরেজি ও বাংলা হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। এদিকে তদন্তকারীরা মনে করছেন, ধৃতরা তদন্তের মোড় অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করছেন। কিছু তথ্য দিলেও এখনও অনেক কিছু গোপন করে যাচ্ছেন তাঁরা।  ়শুধু তাই নয়। এই ডায়েরির পাতা কি পরিকল্পনামাফিকভাবে আচমকা ভাইরাল করা হল? উঠছে সেই প্রশ্ন। এই প্রেক্ষিতে রবিবার আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করেন সরকারি আইনজীবী। বলেন, 'এই চিঠি ছাত্রকে দিয়ে জোর করে লেখানো হয়েছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি। এবং সেইমতো জবানবন্দি রেকর্ড করেছি।' আপাতত যাদবপুরের হস্টেলে পাওয়া ডায়েরিতে হাতের লেখা ওই পড়ুয়ার কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। প্রয়োজনে হ্যান্ডরাইটিং এক্সপার্টদের সাহায্য নেওয়া হতে পারে বলে খবর সূত্রের।


 


আরও পড়ুন:টিভিতে ডার্বি দেখেছি, এবার ভরা গ্যালারির সামনে ডার্বিতে গোল করলাম: নন্দকুমার