কলকাতা : পঞ্চায়েত ভোটের আগে স্থায়ী রাজ্যপাল (Governor) পেল বাংলা । বাংলার নতুন রাজ্যপাল হচ্ছেন সি ভি আনন্দ বোস। জগদীপ ধনকড়ের ইস্তফার ৫ মাস পরে স্থায়ী রাজ্যপাল পেল বাংলা। নতুন রাজ্যপালকে কেউ স্বাগত জানালেন, তো কেউ 'সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার; কথা বললেন। নাম না শোনার কথা জানালেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Saugata Roy)। দেখে নেওয়া যাক কোন রাজনৈতিক দল কী বলল...


রাজনৈতিক মহলের প্রতিক্রিয়া-


তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, "সি ভি আনন্দ বোসের কোনও দিন নাম শুনিনি। আইএএস অফিসার হিসেবে ওঁর নাম শুনিনি। আমি জানি না, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোনও আলোচনা করেছেন কি না। এই প্রক্রিয়াটা রাজ্য সরকারকে বাদ দিয়ে কেন্দ্র যাকে পছন্দ করে, জগদীপ ধনকড়ের মতো রাজনীতিক হোক বা সি ভি আনন্দ বোসের মতো লং রিটারার্ড আমলা...কী মাপকাঠিতে করে বলা ভারী মুশকিল।


নতুন রাজ্যপালকে স্বাগত জানিয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "রাজ্যপালকে স্বাগত জানাচ্ছি। স্থায়ী রাজ্যপাল পেলাম। রাজ্যবাসীর মতো আমরাও খুশি। আশা করব, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার লুণ্ঠিত হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে কড়া নজরদারি করবেন। তিনি সাংবিধানিক প্রধান। তিনি তাঁর কাজ করবেন। আমরা রাজনৈতিক দল করি। এই সরকারের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন জারি থাকবে।"


বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "রাজ্যে যেন সংবিধান অনুযায়ী কাজ হয়, সেটা দেখার দায়দায়িত্ব ওঁর। তাঁর মতো একজন দূরদর্শী ব্যক্তি যিনি দীর্ঘ প্রশাসনিক জীবনে অনেক নতুন প্রয়োগ করেছেন, নতুন নতুন প্রকল্প চালু করেছেন কেরলে। সেই প্রোজেক্ট পরে কেন্দ্রীয় সরকার অনুকরণ করেছে। রাজনীতির নয়, প্রশাসনের লোক। আশা করব, বাংলায় যে ডামাডোল চলছে, তার পরিবর্তন হবে।"  


অন্যদিকে, সংবিধানের-প্রসঙ্গ তুলে ধরে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে যে-ই আসুন না কেন, তিনি যেন মর্যাদাপূর্ণভাবে চলেন, সংবিধানের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা রেখেই চলেন। সংবিধানটাই যেন মূল কথা হয়। তৃণমূল কী বলল বা বিজেপি কী বলল...এই মনোভাবে যাতে না চলেন । তিনি যেন বাংলার সমাজ-সংস্কৃতিকে বোঝার চেষ্টা করেন।" 


প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, নিয়োগ প্রক্রিয়া ক্রমশ বিতর্কের আবহে হচ্ছে। দেখতে হবে আগামী দিনে কীভাবে আনফোল্ড হয়।


আরও পড়ুন ; পশ্চিমবঙ্গের জন্য স্থায়ী রাজ্যপাল ঘোষণা, জগদীপ ধনকড়ের উত্তরসূরি ডক্টর সি ভি আনন্দ বোস