কলকাতা: খাস কলকাতায় গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ। কাশীপুরে গৃহবধূকে গণধর্ষণের (Rape Cade) অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে স্বামী-সহ ৩ জন। নির্যাতিতার দাবি, চিকিত্সা করানোর জন্য সম্প্রতি বিহার থেকে স্বামীর সঙ্গে কলকাতায় আসেন। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী দুই বন্ধুর সঙ্গে মদ খান ও টাকার বিনিময়ে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করেন। গতকাল সকালে কাশীপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। গণধর্ষণের মামলা রুজু করে স্বামী-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রতুয়ায় দশম শ্রেণির ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তিনজনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ১০ সেপ্টেম্বর, সকালে টিউশনে যাওয়ার সময় ১৬ বছরের কিশোরীকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় তিনজন। মাদকজাতীয় কিছু খাইয়ে বেহুঁশ করে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, এরপর নাবালিকাকে গ্রামে ফেলে দিয়ে চলে যায় অভিযুক্তরা। ১৬ সেপ্টেম্বর, রতুয়া থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির অভিযোগ, অভিযুক্তরা শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় পুলিশ নিষ্ক্রিয়। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই, পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে, প্রতিক্রিয়া দেয় তৃণমূল।
অন্যদিকে খাস কলকাতায় তরুণীকে হাত-মুখ বেঁধে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল আগেও! গণধর্ষণের পর আলমারি ভাঙচুর করে ১৫ লক্ষ টাকা-গয়না লুঠেরও ঘটনা ঘটে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছিল গার্ডেনরিচ থানার অন্তর্গত পাহাড়পুর রোডের একটি বাড়িতে।
ঘটনার সময়ে বাড়িতে একা ছিলেন তরুণী। তিনি ওই বাড়িরই সদস্য। সেই তরুণীর হাত-মুখ বেঁধে এবং রীতিমতো তাঁকে মারধোর করে বাড়িতে লুঠপাট চালায় একদল দুষ্কৃতী। আলমারিসহ বাড়ির অন্যান্য জিনিসপত্র ভেঙে সেখানে লুঠপাট চালানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রাতের দিকে পরিবারের লোকজন গার্ডেনরিচ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় তরুণী বাড়িতে একাই ছিলেন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সেই সময়ে নিজেদের কাজে বাইরে ছিলেন। তরুণীর অভিযোগ, বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে তাঁর হাত-মুখ বেঁধে লুঠ চালায় বাড়িতে। কিন্তু গোটা বিষয়টা নিয়ে পুলিশের কাছে সবথেকে বড় প্রশ্ন, তরুণী যদি বাড়িতে একাই থেকে থাকেন, তাহলে তো বাড়ির দরজা বন্ধ থাকার কথা। সেই দরজা যদি ভাঙা হত, তাহলে তো প্রতিবেশীরাও তার আওয়াজ পেতেন। কিন্তু প্রতিবেশীরা কোনও আওয়াজ পাননি। তাহলে কী পরিচিত কাউকে দেখেই দরজা খুলে দিয়েছিলেন তরুণী? তদন্ত শুরু করে পুলিশ।