সন্দীপ সরকার, কলকাতা: খাস কলকাতায় জাল (Fake Medicine Racket) ওষুধ তৈরি ও বিক্রির পর্দাফাঁস। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে গড়িয়ার বোড়ালের রাস ইন্য়ারন্য়াশনালের লাইসেন্স বাতিল করল রাজ্য় ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ (Drug Control Department West Bengal)। প্রসাধন সামগ্রী এবং স্যানিটাইজার তৈরির লাইসেন্সের আড়ালে চলছিল জাল ওষুধ তৈরির কারবার, এমনই অভিযোগ। একটি সংস্থার নাম ব্য়বহার করে তা বাজারে বিক্রি করা হত বলে অভিযোগ। তদন্তের পর সংস্থার সমস্ত উৎপাদন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তালা বন্ধ সংস্থার তিনটি শাখা এবং গুদামে।
যা জানা গেল...
আপাতত যা জানা গিয়েছে, তাতে প্রসাধন সামগ্রী এবং স্যানিটাইজার তৈরির মর্মে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের থেকে লাইসেন্স পেয়েছিল এই সংস্থাটি। কিন্তু এই লাইসেন্সের আড়ালে তারা যে ত্বকের সমস্যার জাল ওষুধ তৈরি করে খোলা বাজারে বিক্রি করছে, এমন অভিযোগ উঠতেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়। শুধু তাই নয়। একটি বিশিষ্ট ওষুধ সংস্থার নামে ওই ওষুধ বিক্রিও করার অভিযোগ ছিল এই সংস্থাটির নামে। এর পরই তদন্তে নামে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয় বলে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের দাবি। এর পরই গড়িয়ার বোড়ালের রাস ইন্য়ারন্য়াশনালের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, যে সংস্থাটিকে সমস্ত উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। তাদের কোনও পণ্য যাতে খোলা বাজারে না পাওয়া যায়, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের উৎপাদনই বন্ধ রাখতে হবে সংস্থাটিকে। গোটা বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরকেও জানানো হয়েছে বলে খবর।
আর যা...
এর আগে, গত বছর এপ্রিল মাসে, গুণমান বিচারের পরীক্ষায় ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছিল নিত্য ব্যবহৃত ৪৮টি ওষুধ। বিষয়টি নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছিল সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন বা CDSCO। এই নিয়ে CDSCO-র ওয়েবসাইটে পরীক্ষায় উতরোতে না পারা ওষুধের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ১ হাজার ৪৯৭টি ওষুধের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছিল। তার মধ্যে গুণমান পরীক্ষায় উতরে গিয়েছে ১ হাজার ৪৪৯টি ওষুধ। ৪৮টি নিত্য ব্যবহৃত ওষুধ ব্যর্থ হয়েছে পরীক্ষায়। ব্যর্থ ওষুধের তালিকায় রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিকস, অ্যান্টি ডায়বেটিক, ক্যালসিয়াম, কার্ডিয়াক ওষুধ। মৃগীরোগে বহুল ব্যবহৃত গাবাপেন্টিন, হাইপারটেনশনে ব্যবহৃত টেলমিসার্টান, অ্যান্ডি ডায়বিটিস কম্বিনেশন গ্লিমেপিরাইড এবং মেটফর্মিনের মতো ওষুধ রয়েছে তালিকায়। আবার HIV-র রিটোনেভির ওষুধও ব্যর্থ হয়েছিল পরীক্ষায়।
তবে কলকাতা শহরের বুকে যেটা ধরা পড়ল বলে দাবি রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের সেটা এর থেকে আলাদা।
আরও পড়ুন:দাঁইহাট পুরপ্রধানের অপসারণ দাবি, ফিরহাদকে চিঠি তৃণমূলেরই ১১ জন বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলরের