সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ফের মাদক পাচারের প্ল্য়ান ভেস্তে দিল বিএসএফ (BSF)। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে প্রচুর পরিমাণে গাঁজা, ফেনসিডিল এবং ফিশপিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া পণ্যের আনুমানিক মূল্য ৪,৩২,০৫৫ টাকা।


বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাদক পাচারের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয় বিএসএফ


২৬ মার্চ  দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনে বিএসএফ-র বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের আগে থেকেই সজাগ ছিলেন জওয়ানরা। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা, নদিয়া এবং মালদহ জেলার সীমান্ত এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাদক পাচারের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয় বিএসএফ।  ভারত থেকে বাংলাদেশে চোরাকারবারিরা পাচারের চেষ্টা করার সময়  বিএসএফ ৩৬.৫ কেজি গাঁজা, ৪৪৮টি ফেনসিডিল বোতল এবং ৩৪টি ফিশপিনের বল বাজেয়াপ্ত করে। 


এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে ৩৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়


বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে ২৫ মার্চ সকাল ৮ টা ৫ নাগাদ ১৪৬ ব্যাটালিয়ন, বিএসএফ সীমান্ত ফাঁড়ি বাউসমারী এলাকায়। বিএসএফ-এর গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে, কিছু চোরাকারবারী ভারত থেকে গাঁজার একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করছে। খবর পাওয়া মাত্রই সন্দেহজনক এলাকায় কড়া নজরদারি চালায় জওয়ানরা। চোরাকারবারীরা জওয়ানদের তাঁদের দিকে আসতে দেখে ঘন ঝোপের সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যায়। এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে ৩৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।


উদ্ধার হওয়া সামগ্রী পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর


এছাড়াও একই দিনে অন্যান্য ঘটনায় সীমান্ত ফাঁড়ির মধুপুর, নাদিরখানা, নওয়াদা ও পোলেচার জওয়ানরা নিজ নিজ এলাকা থেকে মোট ৪৪৮টি ফেনসিডিল বোতল ও ৩.৫ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করেছে। ডোবারপাড়া সীমান্ত ফাঁড়ির জওয়ানরা একটি বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাছের ডিমের ৩৪ টি বল বাজেয়াপ্ত করেছে। উদ্ধার হওয়া সামগ্রী পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও পড়ুন, ঝড়-বৃষ্টির পরেই বাড়তে চলেছে তাপমাত্রা, কী বলছে হাওয়া অফিস ?


জওয়ানদের সাধুবাদ  


দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তে এই সাফল্যে খুশি শ্রী এ কে আর্য, ডিআইজি, পাবলিক রিলেশন অফিসার। এবং জওয়ানদের সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, এটি তাঁর কর্তব্যরত জওয়ানদের দ্বারা প্রদর্শিত সতর্কতা প্রতিফলন করে। তিনি জনগণকে কোনও অবস্থাতেই চোরাচালানের পথ অবলম্বন না করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি কড়া ভাষায় বলেন যে, তাঁর জওয়ানরা কোনও অবস্থাতেই সীমান্তে চোরাচালান বা অন্য কোনও ধরণের অপরাধ ঘটতে দেবে না এবং এর সঙ্গে জড়িতদের রেহাই দেবে না।