কলকাতা: কলকাতার করোনার কন্টেনমেন্ট জোন সংখ্যা বাড়ানো হল। রাজ্যজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২৫ থেকে বেড়ে সেই সংখ্যা পৌঁছল ৪৮-এ।
রাজ্যে ফের হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তিলোত্তমার অবস্থা উদ্বেগজনক। এই পরিস্থিতিতে শহরে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসরে নেমেছে কলকাতা পুরসভা। এর আগে কলকাতায় ২৫টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট (Micro Containment) জোন (Zones) করা হয়েছিল। একথা জানিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
ফিরহাদ জানান, কোনও আবাসনে ৪-৫ জন আক্রান্ত হলেই মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হবে। কনটেনমেন্ট জোন ছাড়াও বাজার, জনবহুল রাস্তায় হবে স্যানিটাইজেশন। বাজারে মাস্ক ছাড়া বিক্রি নিষিদ্ধ। ১০-১৫ তারিখের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে অনেকের মধ্যেই কোভিড-বিধি মেনে চলায় অনীহা দেখা দিচ্ছে। এপ্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, মানুষকে সচেতন করতে পারি, জোর করতে পারি না। আরও জানান, এলাকাভিত্তিক নয়, মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হচ্ছে আবাসন বা বাড়ি। ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হচ্ছে।
উৎসবের আবহে অতিমারির (Pandemic) পাহারায় ছিলেন তাঁরা। এ বার সেই কলকাতা পুলিশের অন্দরেই (Kolkata Police) করোনার (COVID-19) হানা। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কলকাতা পুলিশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২১। এ দিন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৭ জন পুলিশকর্মী। তাতেই একলাফে ১০০ পেরিয়ে গিয়েছে সংক্রমণ।
করোনার থাবা এবার সিবিআই (CBI) অফিসে। সূত্রের খবর, নিজাম প্যালেস (Nizam Palace) ও সল্টলেকের সিজিও (Saltlake CGO) কমপ্লেক্স মিলিয়ে ১৩ জন সিবিআই অফিসার করোনা আক্রান্ত। এদের মধ্যে রয়েছেন সিবিআইয়ের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি, চিটফান্ড তদন্ত ও দুর্নীতিদমন শাখার অফিসাররা।
সিবিআই সূত্রে খবর, এই পরিস্থিতিতে ৪০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চলবে কাজ। বাকিরা থাকবেন কোয়ারেন্টিনে। সিবিআইয়ের দুটি অফিসই স্যানিটাইজ (Sanitize) করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ বাবার পর মেয়ে, এবার করোনা আক্রান্ত সৌরভ-কন্যা সানা