কলকাতা: বেআইনি নির্মাণের কারণেই কি এই বিপত্তি। ধর্মতলার আগুন ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজভবনের কাছে বহুতলে বিধ্বংসী আগুন লাগে বুধবার দুপুরে। দাউদাউ করে জ্বলছে শরাফ হাউসের ছাদের একাংশ। ঘটনাস্থলে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। স্থানীয়দের দাবি, ছাদের ওপর সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের ক্যান্টিন থেকে আগুন ছড়ায়। ইতিমধ্যেই ভেঙে পড়েছে ছাদের একাংশ। ওপর থেকে আগুনের ফুলকি ছিটকে পড়ছে রাস্তায়। কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে আকাশ। আশেপাশের গাছও পুড়তে শুরু করেছে। খবর পেয়ে রাজভবন ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন রাজ্যপাল। নিজেই তদারকি করছেন সি ভি আনন্দ বোস। ঘটনাস্থলে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।


ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি জানিয়েছেন দ্রুত কাজ চালানো হচ্ছে। একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৫৫ মিটার ল্যাডার আসছে বলেও জানিয়েছেন সুজিত বসু। জানা গিয়েছে, বহু কর্মীরাই থাকেন এই বহুতলে, ছাদে তৈরি করা হয়েছিল একটি অস্থায়ী থাকার জায়গাও। কিছুদিন আগে রেডও হয় বলে জানা গিয়েছে। এ নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ার কথা জানিয়েছেন খোদ কাউন্সিলরও। তবে কি বেআইনি নির্মাণের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটল? বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়াও অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা কি যথাযথ ছিল? তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। 


এবার অফিস পাড়ায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। রাজভবনের কাছে শরাফ হাউসে আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল ১১ টি অফিস ও ১ টি ক্যান্টিন। আর ঘটনার পরই এই বহুতলে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় কংগ্রেস কাউন্সিলর। সন্তোষ পাঠকের অভিযোগ, শরাফ হাউসে বেশকিছু নির্মাণ কাজ হয়েছিল, যাতে কোনও নিয়ম মানা হয়নি।


৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক বলছেন, এরা প্রচুর বেআইনিভাবে নির্মাণ করেছে। কোনও নিয়ম মানেনি। বহু বার অভিযোগ জানিয়েছি। কপিও আছে। ছোটো ঘর করে অফিস ভাড়া দিয়েছিল। যদিও মেয়রের দাবি, স্থানীয় কাউন্সিলর কোনওদিনই কোনও অভিযোগ করেননি। 


ফিরহাদ হাকিমের কথায়, কবে থেকে বেআইনি। কী বেআইনি। এলাকার কাউন্সিলর তো কোনও দিন অভিযোগ করেননি। বিষয়টি দেখছি। স্থানীয়দের দাবি, ছাদে থাকা ক্যান্টিন থেকেই আগুন ছড়ায়, বেশ কয়েকবার বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়।  রাজভবনের ঢিল ছোড়া দূরত্বে আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে চলে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তার কিছুক্ষণ পরেই সেখানে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রীও। ফের কলকাতায় জতুগৃহ। বেআইনি নির্মাণ হয়ে থাকলে নজরদারি কোথায়? আগুন লাগার পরেও কি হুঁশ ফিরবে?প্রশ্ন অনেকেরই। 


এদিন রাস্তায় বেরিয়ে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। নিজেই তদারকি করতে বেরোন। ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। ইতিমধ্যেই ছাদের বেশ কিছুটা অংশ ভেঙে পড়েছে। এলাকা ঢেকে গিয়েছে কালো ধোঁয়ায়। আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসে দমকল বিভাগ। কিন্তু আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের (Kolkata News)। দমকলের ১৪টি ইঞ্জিন রয়েছে ঘটনাস্থলে।


আগুন লাগার খবর পেয়ে রাজভবন থেকে বেরিয়ে আসেন রাজ্যপাল: রাজভবনের কাছেই অবস্থিত এই বহুতল শরাফ হাউস। একেবারে উল্টো দিকে। একাধিক দফতর রয়েছে শরাফ হাউসে। বুধবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। একেবারে দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। বিষয়টি জানতে পেরে নিজেই রাজভবন থেকে বেরিয়ে আসেন রাজ্যপাল। রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিজে পরিস্থিতি তদারকি করেন। তবে এখনও আগুন নেভানো যায়নি। দমকলকর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। আনা হয়েছে হাউড্রলিক ল্যাডারও।