কলকাতা: রাজ্যে ৭ দিনে বাজির বলি হয়েছে ১৬ জন। তার পরেই জেলায় জেলায় চলছে পুলিশি অভিযান। উদ্ধার হল আরও ২৪ হাজার কেজির বেশি বেআইনি বাজি। গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। এত বাজি-বারুদ কোথা থেকে আসছে? তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।  


এ যেন বাজি-বারুদের স্তূপে বাংলা! জেলায় জেলায় পরপর পুলিশি অভিযান অব্যাহত। উদ্ধার হল আরও ২৪ হাজার কেজির বেশি বেআইনি বাজি! গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। ৭ দিনে রাজ্যে ৩ জায়গায় বাজির বলি হয়েছে ১৬ জন! এতগুলি প্রাণ অকালে ঝরে যাওয়ার পর ঘুম ভাঙল পুলিশের। 


শুধু সোমবারই বারুইপুর এলাকা থেকে ১২ হাজার কেজি বেআইনি বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওইদিন উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ, সাইবোনা, বেড়ি নারায়ণপুকুরে একাধিক গুদামে তল্লাশি চালিয়ে ১০ হাজার কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। বেআইনি বাজি মজুতের অভিযোগে জাকির হোসেনকে নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ। 


একইদিনে বেলঘরিয়ার বিবেকানন্দ নগর থেকে ৩০০ কেজি বেআইনি বাজি সহ একজনকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। নদিয়ার কৃষ্ণনগরে একটি গুদাম থেকে ২৫০ কেজি বেআইনি বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১০০ কেজি বেআইনি বাজি। 


অন্যদিকে, হুগলির একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় দেড় হাজার কেজি নিষিদ্ধ বাজি। রহড়ায় উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০০ কেজি বেআইনি বাজি। একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে চুঁচুড়া কামারপাড়া থেকে ২৫ কেজি বেআইনি শব্দ বাজি আটক করে পুলিশ। অন্যদিকে ৯০০কেজি নিষিদ্ধ বাজি সহ ৩জনকে গ্রেফতার করে হুগলি গ্রামীনের চন্ডীতলা থানার পুলিশ।


বাদ গেল না, রাজারহাটও। পুলিশ সূত্রে খবররাজারহাট বাজারের একটি কাপড় ব্যবসায়ির গুদামে বিপুল পরিমান বাজি রয়েছে। সেই খবর পেয়ে এদিন দুপুরে সেই গোডাউনে হানা দিয়ে প্রচুর নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করে পুলিশ। 


এগরা, বজবজ, মালদায় বিস্ফোরণে এতগুলো প্রাণহানির পর অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। আগামী ২ মাস দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটিতে বাজি তৈরি, বিক্রি বা মজুত করা নিষিদ্ধ করল বারুইপুর পুলিশ জেলা। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, দুর্ঘটনার পর কেন পুলিশ তৎপর? পুলিশ এই তৎপরতা আগে দেখালে কি রোখা যেত না প্রাণাহানি? আর কত বেআইনি বাজি মজুত রয়েছে? নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধারেরর এই ছবি সাধারণত দেখা যায় কালীপুজোর আগে। কিন্তু, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বারুদের স্তূপ দেখে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকে।