মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: টাকার অভাবে আজও অসম্পূর্ণ নতুন মহাকুমা আদালত ভবনের কাজ। বিচারপতিকে জানালেন আসানসোল দুর্গাপুর (Durgapur) উন্নয়ন পর্ষদের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, একই দাবি আইনজীবীদেরও। আতঙ্কের পুরনো আদালত ভবন গিয়ে এমনটাই দেখলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়।


দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমা আদালতের ভবনে বিচারের আশায় বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের আনাগোনা চলে। কিন্তু প্রায় ৪০-৫০ বছরের পুরনো ভবনের ভগ্নদশা চিন্তা বাড়াচ্ছে। প্রায় দিন আদালত ভবনের চাঙর ভেঙে পড়ছে। ভেঙে পড়ছে আদালত ভবনের দেওয়ালও। ভবনে ঘুরে বেড়ায় গবাদিপশুর দল আর পথ সারমেরাও। আইনজীবীরা এবং বিচারের আশায় আসা মানুষ সকলেই  আতঙ্কে থাকেন। পাশেই দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের নতুন ভবন তৈরি হচ্ছে।                                                                                                   


২০২১ সালে নতুন আদালত ভবনের কাজ শুরু হলেও আজও অসম্পূর্ণ অবস্থায় কেন রয়েছে সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে আজ পৌঁছলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়। আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শ্রীকান্ত মন্ডলের কাছে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখার্জি জানতে চাইলেন কেন নতুন আদালত ভবনের কাজ শেষ হচ্ছে না।                


উত্তরে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শ্রীকান্ত মন্ডল জানান, এখনও দু-কোটি ৪২লক্ষ টাকা বিচার বিভাগ থেকে বরাদ্দ হয়নি। আর সেই টাকার অভাবেই এখনও কাজ সম্পূর্ণ করা যায়নি।                           


টাকা বরাদ্দ হয়ে গেলেই ছয় মাসের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে বলেও বিচারপতিকে জানিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ররা। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে আশ্বাস দিয়েছেন, বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন। তিনি এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে আরও বলেন দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের পুরনো ভবন দ্রুত সংস্কারের কথা।


কালীপুজোর আগেই পুরনো আদালত মেরামত করার নির্দেশ দেন তিনি। ২০২১ সালে নতুন আদালত ভবন নির্মাণের জন্য মোট প্রায় ২৪কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ হলেও বাকি কাজ অর্থাৎ জল-বিদ্যুতের লাইন, জানালা-দরজা লাগানো কিছুই হয়নি।