আঙ্কারা: পাকিস্তানে জোড়া আত্মঘাতী বিস্ফোরণের দু'দিনের মধ্যেই বিস্ফোরণে (Turkey Blast) কেঁপে উঠল তুরস্ক। ঘটনাস্থল রাজধানী আঙ্কারায়, তুরস্কের পার্লামেন্টের (Turkey Parliament) একেবারে কাছে। বিস্ফোরণে অন্তত দু'জন পুলিশ অফিসার জখম হয়েছেন বলে খবর। প্রশাসনের বক্তব্য, পার্লামেন্টের কাছে তুরস্কের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের যে দফতর রয়েছে, তার ফটকের সামনেই বিস্ফোরণ ঘটে। সিকিউরিটি ক্যামেরায় সেই মুহূর্তের ভিডিও-ও ধরা পড়েছে। তুরস্ক প্রশাসনের দাবি, এটি সন্ত্রাসবাদী (Turkey Terrorist Attack) হামলা।


কী জানা গেল?
স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টা। অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের দফতরের সামনে এসে দাঁড়ায় একটি কমার্শিয়াল ভেহিকল। তুরস্ক প্রশাসনের দাবি, সিকিউরিটি ক্যামেরার যে ভিডিও ফুটেজ তারা পেয়েছে তা অনুযায়ী ওই গাড়িতে দু'জন ছিল। তাদেরই এক জন নিজেকে উড়িয়ে দেন, দ্বিতীয় জনকে পুলিশ নিরস্ত্র করে। যে জায়গায় বিস্ফোরণ হয়েছে সেখানে একাধিক মন্ত্রকের দফতর রয়েছে। তা ছাড়া একেবারে কাছেই তুরস্কের পার্লামেন্ট। আজই প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ানের বক্তৃতার মাধ্যমে সেখানে কাজকর্ম শুরু হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই এই বিস্ফোরণ। তবে আপাতত যা জানা যাচ্ছে, তাতে প্রশাসন ওই এলাকায় সমস্ত যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে। তদন্ত চলছে। এর আগে গত বছর নভেম্বরে ইস্তানবুলের একটি শপিং স্ট্রিটে বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছিল। তাতে ৬ জনের মৃত্য়ু হয়। ৮১ জন জখম হন। 
তবে এদিনের হামলার নেপথ্যে কে বা কারা, সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। যতটুকু জানা গিয়েছে, তাতে তদন্তকারীদের দাবি, কমার্শিয়াল ভেহিকলটি আঙ্কারা থেকে প্রায় ২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে, 'কায়সেরি' নামে একটি শহর থেকে ছিনতাই করা হয়েছিল। গাড়ির চালককে খুন করে দু'জন সেটি ছিনতাই করে, এমনই উঠে এসেছে প্রাথমিক তদন্তে। কিন্তু এখনও তাদের পরিচয় স্পষ্ট নয়। 

ইতিহাস...
অতীত বলছে, তুরস্কের নানা প্রান্তে এই ধরনের নানা হামলার নেপথ্য়ে সাধারণত কুর্দিশ জঙ্গিরাই কলকাঠি নেড়ে থাকে ।  হালে, তাদের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের জেলে পুরেছে প্রশাসন। সমানতালে তুরস্ক এবং সীমান্ত পেরিয়ে সিরিয়া-ইরাকেও কুর্দদের ঘাঁটিতে সেনা অভিযান চলেছে। সব মিলিয়ে চাপে তারা। পাল্টা দিতেই কি রবিবারের হামলা? স্পষ্ট নয়। খোঁজ চলছে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার পাকিস্তানের বালোচিস্তানে মস্তাঙ্গ এলাকায় পবিত্র ধর্মীয় পরব উপলক্ষ্যে এক মিছিলে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ৬০ জনের মৃত্য়ু হয়, জখম হন আরও ৬০ জন। সেই খবরের ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই দ্বিতীয় আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। দ্বিতীয় বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের হাঙ্গুর একটি পুলিশ স্টেশনের মসজিদে। সেখানে ৫ জনের মৃত্য়ু হয়, জখম হন ১২ জন। বিস্ফোরণের অভিঘাতে মসজিদের ছাদ ভেঙে পড়ে।


আরও পড়ুন:ঝাড়খণ্ডে দুর্ঘটনার কবলে ১০০ দিনের কর্মীদের বাস, ফিরে যাওয়ার নির্দেশ TMC নেতৃত্বের