রুমা পাল, কলকাতা : শুরু হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুজোর (Durga Puja) সলতে পাকানো। এই সময় বাজার ভেঙে পড়ে পুজোর কেনাকাটার ভিড়ে। গত বছর থেকে বদলেছে পরিস্থিতি। একদিকে করোনার চোখ রাঙানি, অন্যদিকে পকেটে টান। ব্যাগ ভরে পুজোর বাজার করা এখন অনেকের কাছেই কঠিন। 



তবে  পুজোর আবহে  দোকানে দোকানে নিউ-ট্রেন্ডের রকমারি পোশাক আসতে শুরু করেছে। ফ্যাশন ট্রেন্ড নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে পত্র-পত্রিকা, গণমাধ্যমে। পুজোর বাদ্যি বাজল বলে! করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা কিছুটা কমেছে। 
তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যেই এগিয়ে আসছে পুজো। একটু একটু করে ক্রেতার আনাগোনা দোকান-বাজারে। পসরা সাজাতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু আশার মধ্যেও আশঙ্কার মেঘ ব্যবসায়ী মহলে। কারণ, সুতোর দাম বাড়ছে চড়চড়িয়ে। যার প্রভাবে দাম বেড়েছে রেডিমেড জামাকাপড়ের। 

আরও পড়ুন :


মা দুর্গার মুখাবয়বে 'মা-মাটি-মানুষ'-এর নেত্রীর আদল, হাতে রাজ্যের নানা প্রকল্পের প্রতীক, চমক বাগুইআটির ক্লাবের


রেডিমেড পোশাক ব্যবসায়ী বিবেক বর্মন জানালেন, 'সুতোর দাম বেড়েছে। জামাকাপড়ের দাম বেড়েছে। উৎসবের মরসুমে। লোকজন ক্যাজুয়াল জামাকাপড়ের বেশি ঝুঁকছে। যে পোশাকের দাম ২০০ ছিল, তা ৩২৫ হয়েছে। লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় কর্মী আসতে পারেছ না।' 


ব্যবসায়ীদের দাবি, তুলোর দাম বাড়া-সহ আনুসঙ্গিক নানা কারণে সুতো অগ্নিমূল্য হওয়ার প্রভাব পড়ছে পোশাকের ব্যবসায়। এছাড়া পণ্য পরিবহনের খরচও বেড়েছে। সূত্রের খবর, ছ’মাস আদে কেজি প্রতি যে সুতোর দাম ছিল ১৭০ টাকা তা বেড়ে হয়েছে ২৮০ টাকা। ১৬০ টাকার সুতো বেড়ে পৌঁছেছে ২৬০ টাকায়।

ইন্ডিয়ান চেয়ার অফ কমার্সের চেয়ারম্যান টেক্সটাইল কমিটি, সুতো নির্মানকারী সংস্থার মালিক সঞ্জয় কুমার জৈন জানালেন, ৫০ শতাংশ দাম বেড়েছে সুতোর। কেন্দ্রীয় সরকার তুলোর ওপর ১০ শতাংশ আমদানি কর চলতি বছরের বাজেটে বাড়িয়েছে। লক ডাউনে দাম বেড়েছে। তুলোর দাম বাড়ায় বেড়েছে সুতোর দামও। শ্রমিকের খরচ বেড়েছে। রেডিমেড গার্মেন্টসের দামে তার প্রভাব পড়েছে। সুতোর মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে জুড়েছে করোনা আবহ ও শ্রমিক সমস্যা।


করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন ও বিধি নিষেধে এমনিতেই টান পড়েছে রুজি-রোজগারে। দাম বেড়েই চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের। তার ওপর পোশাকের দাম বাড়ায় পুজোয় নতুন পোশাক পরা আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে চিন্তায় মধ্যবিত্ত।