সুনীত হালদার, উলুবেড়িয়া: করোনা আবহের মধ্যেই ফের উপস্থিত হয়েছে বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো।‌ এ সময়টা প্রতিবছর উলুবেড়িয়ার ঢাকি পাড়ায় ব্যস্ততা থাকে তুঙ্গে। ঢাকের দড়িতে টান দেওয়া থেকে শুরু করে মহড়ার কাজে ব্যস্ত থাকেন ঢাকিরা।


কিন্তু এবার বরাত না আসায় চরম সমস্যায় পড়েছেন উলুবেড়িয়ার ধূলাসিমলা, মোবেশিয়ার ঢাকিরা। এক সময় রাজ্যের গণ্ডী পেরিয়ে গুজরাত, ওড়িশা, ইলাহাবাদ, কেরল থেকে এখানে ঢাক বাজানোর ডাক আসত। কলকাতা থেকে ডাক পেতেন।


এখন করোনা এই পেশায় থাবা বসিয়েছে। করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছর থেকে বিভিন্ন পুজো কমিটির কাছ থেকে সেভাবে আর ডাক আসেনি। 


উৎসবের মরশুমে ঘরে বসেই দিন কাটাতে হচ্ছে বলে জানালেন ধূলাসিমলা ও মৌবেশিয়া এলাকার ঢাকিরা। বড় বায়না না আসার ফলে জমানো পুঁজি শেষ। এবারেও দুর্গা পুজোর আগে সেভাবে বরাত না থাকায় উলুবেড়িয়ার ধূলাসিমলা ও মোবেশিয়ার  ঢাকি পরিবারে এখন শুধু হতাশা। 


আরও পড়ুন: শিয়ালদা স্টেশনে ভিড় বাড়ছে ঢাকিদের, ঢাকের বোলে উৎসবের মেজাজ শহরে


ঢাকের দড়িতে টান দেওয়া থেকে নতুন চামড়া লাগানো, ঢাক রোদে দেওয়া,পুজো মণ্ডপে যাওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ। কেউ কেউ উলুবেড়িয়া, সাঁকরাইল, চেঙ্গাইল এবং আন্দুল থেকে কম টাকায় ঢাক বাজানোর বায়না পেলেও অনেকেই বায়নার অপেক্ষায় রয়েছেন।


মৌবেশিয়া ও ধূলোসিমলায় ঢাকি পাড়ায় প্রায় ৮০টি পরিবার এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা জানান, ঢাক বাজানোর বায়না ছিটেফোঁটা এলেও টাকার অঙ্ক অর্ধেকে নেমে এসেছে। 


এবারের পুজোয় এখনও পর্যন্ত হাতেগোনা বায়না এসেছে। তাঁরা জানান, পুজো মণ্ডপে ঢাক বাজিয়ে সংসার চলে কিন্ত গত বছর থেকে করোনার কারণে পেশা প্রায় বন্ধ হওয়ার জোগাড়। আর এবারেও যদি পুজোয় বায়না না মেলে, তাহলে পরিবার নিয়ে পথে বসতে হবে।


আরও পড়ুন: পুজোর দিনে কীভাবে চটজলদি নিরামিষ ভোগ রান্না করে ফেলবেন?