রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: রাজ আমলের সেই রাজাও নেই । রাজপাটও নেই । কিন্তু সেই ৫১২ বছর আগের সেই সমস্ত রীতি মেনে এখনও হয়ে চলেছে জলপাইগুড়ির বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। এবার পাঁচশো বারো বছরে পদর্পণ করল জলপাইগুড়ির বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। 
আজ মহাষ্টমীর পুজো শুরু হয়েছে সম্পূর্ণ রীতি মেনেই মহাষ্টমী অঞ্জলি হল।  মহাষষ্ঠীর সকালে রাজবাড়ির আদি দুটি বটগাছকে পুজো দিয়ে দুর্গাপুজোর শুভারম্ভ করেন রাজ পরিবারের সদস্য প্রণত বসু।  সপ্তমীর সকালে  রাজপরিবারের সদস্যরা দেবীকে বরণ করে সপ্তমীর পুজোর সূচনা করেন। সম্পূর্ণ কোভিড বিধিনিষেধ এবং রীতি মেনে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।
আজ অষ্টমীর রাতে রাজবাড়ির অন্দরে অর্ধরাত্রি পুজো হবে । সেই পুজো রাজপরিবারের সদস্যরা ছাড়া কেউ দেখতে পারেন না। সেখানে চালের গুঁড়ো দিয়ে প্রতীকী মানুষ তৈরি করে বলি দেওয়া হবে। 
মহাষ্টমীতে সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে পুষ্পাঞ্জলি, মাইকে স্তোত্রপাঠ৷ সাড়ম্বর দেবী বন্দনা।  আজই বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে কুমারী পুজোও৷ দিকে দিকে দীপের আলোয় উমা বরণ।  আর দু’দিন বাকি পুজোর। মন খারাপ করা নবমীর আগে উত্‍‍সবের সুরে ভাসতে প্রস্তুত বাংলা। মহাষ্টমী ও মহানবমীর মিলন মুহূর্তে সন্ধিপুজো৷ রীতি মেনে বাড়ি ও বারোয়ারি পুজোয় সন্ধিপুজো হয়। এই পুজোয় দেবীকে দেখানো হয় চামুণ্ডা রূপে।  প্রতিমার উদ্দেশে অর্পণ করা হয় ১০৮টি পদ্ম ও ১০৮টি দীপ৷ কলকাতা থেকে কোচবিহার, মালদা থেকে মেদিনীপুর-সর্বত্রই  সন্ধিপুজোর আচারে রীতি ও ঐতিহ্য অটুট৷ 


আরও পড়ুন :


আজ কোভিড বিধি মেনে বেলুড় মঠে কুমারী পুজো, জেনে নিন কখন, কীভাবে দেখবেন



অষ্টমীতে অসুর রূপে দেখা দিতে পারে বৃষ্টি। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। যদিও উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে তেমন আশঙ্কা নেই। তাই ফুরফুরে মেজাজেই পুজো চলছে জলপাইগুড়িতে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, উত্তরবঙ্গে ১৪-১৫ তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। শুধুমাত্র মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুরে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।