সৌমিক সাহা, জুরিখ: প্রবাসে পুজো। সুদূর সুইত্জারল্যান্ডেও ধুমধাম করে হচ্ছে উমার আরাধনা। জুরিখের সুইস পুজো এবার পা দিল ১৮ বছরে। রীতি মেনে পুজো, সঙ্গে দেদার খাওয়া-দাওয়া, বাদ নেই কিছুই।
নজরকাড়া মণ্ডপে উমার অপরূপ রূপ। রীতি-নীতি মেনে পুজোর সঙ্গে দেদার খাওয়া-দাওয়া আর উপরি পাওনা হিসেবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এক ঝলকে মনে হবে কলকাতার কোনও পুজো। কিন্তু এসবই হচ্ছে কলকাতা থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে সুদূর ইউরোপে।
তুলি দিয়ে আঁকা ছবির মতো সুন্দর শহর সুইত্জারল্যান্ডের জুরিখের এই দুর্গাপুজো এবার পা দিল ১৮ বছরে। তবে সুইস পুজো মানেই যে শুধু সুইত্জারল্যান্ডের প্রবাসী বাঙালিদের পুজো, এমনটা ভাবলে ভুল হবে। পুজোর কটা দিন এখানে ভিড় জমান জার্মানি, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, ইতালি থেকে আসা প্রবাসী বাঙালিরা।
উমার আরাধনায় এবারও নজর কেড়েছে নর্থ লন্ডনের প্রভাতী সঙ্ঘের পুজো
এবারের মণ্ডপ তৈরি করেছেন এক জার্মান মহিলা। রীতি রেওয়াজ মেনে পাঁচদিন ধরে ই পুজো চলে। জুরিখ লেকে হয় কলাবউ স্নান। পুজোর পাশাপাশি চলে দেদার খাওয়া-দাওয়া। গতবছর করোনার কারণে সংক্ষিপ্তভাবে পুজো হয়েছিল। কিন্তু এবার সুইত্জারল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশমতো কঠোরভাবে করোনাবিধি মেনে আয়োজন করা হয়েছে পুজোর। পুজোর সঙ্গেই আয়োজন করা হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
শরতে, শিউলিতে উমার আরাধনায় এবারও নজর কেড়েছে নর্থ লন্ডনের প্রভাতী সঙ্ঘের পুজো৷ ষষ্ঠীর বোধন থেকে সপ্তমীর নবপত্রিকা স্নান, অঞ্জলি, আরতি থেকে ভোগ-- সব কিছুই হল রীতি মেনে, নির্ঘণ্ট মেনে। আড়ম্বর নয়, আন্তরিকতাই এই পুজোর মূল বৈশিষ্ট্য৷
আরও পড়ুন: দিল্লির গ্রেটার কৈলাস টু এস ব্লকের পুজোয় নজর কেড়েছে আড়াই ফুটের দুর্গা প্রতিমা
টেমসের তীরে দেবী দুর্গার আরাধনা৷ হোক না সে প্রবাস৷ আন্তরিকতা ও আয়োজনে কোনও খামতি নেই৷ দূর দেশে বসে পুজোর হাত ধরে খুঁজে পাওয়া দেশের মাটিকে৷ স্বাদ পাওয়া নিজের সংস্কৃতির। ২০১৬ সালে শুরু। করোনা আবহে গতবার পুজো হয়েছিল ছোট করে, এবার আবার সবাই জড়ো হয়েছেন এক জায়গায়। জমে উঠেছে উত্তর লন্ডনের প্রভাতী সঙ্ঘের পুজো৷