কলকাতা: একে চতুর্থী তার ওপর শনিবার। প্রতিপদ থেকেই উৎসবের মেজাজে চলে গিয়েছে শহর। কোথাও সাবেকীয়ানা, কোথাও থিমের বাহার। 


কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ, আলো ঝলমলে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা দর্শন। কোথাও আবার প্রতিমা আনার প্রস্তুতি। চলছে তোড়জোড়। এরই মধ্যে চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটাও। 


চতুর্থীর দিন থেকেই বিভিন্ন মণ্ডপে ভিড় বাড়তে শুরু করবে। ফলে প্রথম থেকেই সতর্ক পুলিশ প্রশাসন। যানজট ও ভিড় মোকাবিলায় আজ থেকেই রাস্তায় থাকছে অতিরিক্ত পুলিশ।


কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, পুজো কমিটিগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বড়পুজোর ক্ষেত্রে মণ্ডপ থেকে ১০ মিটার এবং ছোট পুজোর ক্ষেত্রে মণ্ডপ থেকে ৫ মিটার পর্যন্ত নো এন্ট্রি জোন। 


বলা হয়েছে, নো এন্ট্রি জোনে কোনওভাবেই ঢুকতে পারবেন না দর্শকরা। অঞ্জলি, আরতি, সিঁদুর খেলার আয়োজন করতে হবে আদালতের নির্দেশ মেনে। 


আরও পড়ুন: পুজোয় করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে সতর্কবার্তা জারি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের


ইতিমধ্যে আরও ১ মাস ‘করোনা বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়েছে রাজ্য। তবে পুজো উপলক্ষ্যে ১০ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত থাকছে না কোনও রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ। তবে চিকিৎসকরা সচেতন থাকতে বলছেন, যাতে করোনা আবহে পুজোর উচ্ছ্বাস আরও বড় বিপদ ডেকে না আনে। 


এদিকে, পুজোয় কোভিড সংক্রমণ রুখতে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে সতর্কবার্তা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। সতর্কবার্তায় উৎসবের মরশুমে কোনও রকম জমায়েত বা শোভাযাত্রা করতে নিষেধ করা হয়েছে। পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ভিড় এড়িয়ে প্রতিমা দর্শনের। 


স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সতর্ক করে বলা হয়েছে, শারীরিক দূরত্ব বিধি যেন অবশ্যই বজায় রাখা হয়। বিরত থাকতে বলা হয়েছে দল বেঁধে সিঁদুর খেলা থেকে। 


বয়স্ক, শিশু, গর্ভবতী ও অসুস্থদের ভিড় থেকে দূরে রাখতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে বলা হয়েছে বাইরে গেলে মাস্ক অনিবার্য। ঠাকুর দেখা, আড্ডা, পেটপুজোর ফাঁকে ঘন ঘন সাবান-জল বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে। কেউ যদি কাশি, সর্দি, জ্বরে আক্রান্ত হন, তাঁরা যাতে ঘরের বাইরে না যান, সে বিষয়ে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য দফতর। 


আরও পড়ুন: তৃতীয় ঢেউ আশঙ্কা ! পুজোয় যানজট ও ভিড় নিয়ন্ত্রণ কীভাবে? বৈঠক কলকাতা পুলিশের