সঞ্চয়ন মিত্র ও অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: কোনও পুজো (Durga Puja 2022) বিষয় ভাবনায় রীতিমতো চমকে দেয়। কোথাও সাবেকীয়ানায় সহজিয়া টান। মননে আলাদা, উত্কর্ষে সেরা শহরের পুজোগুলির হাতে উঠল এবিপি আনন্দর শারদ সম্মান। ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতি কলকাতার দুর্গাপুজোর মুকুটে নতুন পালক যোগ করেছে। শহরে পুজোর আয়োজনে তাই মহা ধুমধাম। থিম, মণ্ডপসজ্জা, পুজোর পরিবেশে অভিনবত্বের ছোঁয়া। শহরের সেরা পুজোগুলি জিতে নিল শারদ আনন্দ সম্মান (Sharod Samman)।
অভিনব ভাবনার লড়াই: পুজোর আমেজে পুরোদমে ভাসছে বাংলা। তার আনন্দ যেমন আছে, তেমনই আছে থিম-সাবেকিয়ানার চিরাচরিত টক্কর। তাদের মধ্যে যারা সেরা, ‘শারদ আনন্দ সম্মানে’র মাধ্যমে তাদের কুর্নিশ জানাল এবিপি আনন্দ। পুজোর আবহে সেরা কালীঘাট মিলন সঙ্ঘের পুজো ৭৯ বছরে পড়ল। থিমে অভিনব চমক। থিম হল পুজোর গন্ধ। মণ্ডপ তৈরি হয়েছে ধুনিচির আকারে। ব্যবহার করা হয়েছে কয়েক হাজার ধুনুচি। মণ্ডপে পা দিলেই পাওয়া যাবে ধুনো, ফুলের গন্ধ। থিমশিল্পী বিশ্বনাথ দে। পুজোর আবহে সেরা এবিপি আনন্দ শারদ সম্মান পেল কালীঘাট মিলন সঙ্ঘ।
উৎসবের আমেজ বাংলায়: বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ষষ্ঠী রাত থেকেই হয়েছে ঘুরে ঘুরে ঠাকুর (Durga Puja 2022) দেখা। সপ্তমীর সকালেই রাস্তায় জনজোয়ার। উত্তর থেকে দক্ষিণ, মণ্ডপে মণ্ডপে ঠাকুর দেখার ভিড়। থিমের সঙ্গে সাবেকিয়ানার জোর টক্কর। সপ্তমীর রাতে সেই ভিড় বাড়বে আরও। উৎসবের (Festival) দিনে কড়া নিরাপত্তার (Security) বাড়তি ব্যবস্থা করা হয়েছে বড় পুজোর মণ্ডপগুলিতে। ঢাকের আওয়াজে ঘুম ভেঙেছে অনেকেরই। শরতের ঝলমলে আকাশ মাঝেমধ্যেই ঢাকছে মেঘে।
সপ্তমীতে পুরোদমে পুজোর মুডে বাংলা: সমাজ ভাবনায় সেরা সল্টলেকের এ ই ব্লকের পার্ট ওয়ানের পুজো এবার ৩৯ বছরে পড়ল। পুজোর থিম, পদ্মাপাড়ের রূপকথা। নদীর পাড়ের ভাঙাগড়ায় নিয়ন্ত্রিত হয় যাঁদের জীবন, তাঁদের দিনযাপনের ছবিই তুলে ধরা হয়েছে থিমে। মণ্ডপজুড়ে ব্যবহার করা হয়েছে নৌকা, জাল। সমাজ ভাবনায় সেরা এবিপি আনন্দ শারদ সম্মান পেল সল্টলেক এ ই পার্ট ওয়ানের পুজো। নির্মাণে সেরা বোসপুকুর শীতলামন্দিরের পুজোর থিম পুনর্নবীকরণ। হারিয়ে যাওয়া মন্দির স্থাপত্যের সংরক্ষণের বার্তাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে থিমে। থিম শিল্পী রাজু সরকার। ৭৩ বছরের এই পুজোই নির্মাণে সেরা এবিপি আনন্দ শারদ সম্মান জিতে নিল।
আরও পড়ুন: Durga Puja 2022: নবপত্রিকা স্নানের পর রীতি মেনে বরণ, সপ্তমীর সিঁদুর খেলা দুর্গাপুরের রায় বাড়িতে