নিবেদিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়া : ৫০০ বছরেরও পুরনো শহর হাওড়া (Howrah Puja )। গঙ্গার পাড়ের এই শহরের ইতিহাস বহু প্রাচীন। শিল্পাঞ্চল হিসেবে প্রসিদ্ধ এই অঞ্চলে এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু বনেদি পরিবার। যাঁদের ইতিহাস আভিজাত্যে ভরা। জৌলুস কমে এলেও সে-সব পুজো ( Durga Puja ) এখনও হয় মহাসমারোহে। তেমনই প্রসিদ্ধ হাওড়া রামকেষ্টপুরের বসু পরিবারের পুজো। বাঙালিদের মধ্যে ব্য়বসায় যাঁরা নামডাক করেছিলেন তাঁদের মধ্যেই একজন ঈশানচন্দ্র বসু । তাঁর পরিবারের পুজোর জাঁকজমক আজ অমলিন। 



পরিবারের ইতিহাস 
প্রায় ২০০ বছরের পুজো। বর্তমানে অন‍্যতম গৃহকর্তা গৌতম সাধন বসু জানালেন,    আমতার কাছে সিঞ্চি শিবপুরে ছিল এঁদের আদি বাস। পরবর্তীতে হাওড়া রামকেষ্টপুরে বসতি স্থাপন করে বসু পরিবার। এই পরিবারের পূর্বপুরুষরা ছিলেন জাহাজ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকেই এই পরিবারে সমৃদ্ধির জোয়ার আসে। তারপরই নাকি দেবী স্বপ্ন দেন। এরপর পুজো শুরু হয় বসু পরিবারে।


ঈশানচন্দ্র বসুর হাত ধরে এই পরিবারে দুর্গাপুজোর পত্তন। জানা যায়, এই পরিবারে আগে বলি প্রথা ছিল। পরে গাঁধীজী অহিংস আন্দোলন শুরু করলে বলিপ্রথা উঠে যায়। ফল বলি প্রথা শুরু হয়। পরে তাও উঠে যায়। 


দুর্গাপুজো


পুজোর প্রসাদ 
এই বাড়িতে পুজোর প্রসাদ হয় ময়দা ভোগ। লুচি, নানা ভাজা-ভুজি মাকে নিবেদন করা হয়। এই পরিবারে দেবীর অন্নভোগ হয় না। শোনা যায়, আগে পুজোর দালানে এত ভিড় হত, বাড়ির সকলেরই জায়গা হত না। দিনে-দিনে আত্মীয় স্বজনদের যোগও কমে আসছে। কমছে দায়িত্ব নির্বাহ করার লোকজনও। 


১১ বছর বয়সী একটি বাহ্মণ পরিবারের মেয়েকে কুমারী হিসেবে পুজো করা হয়। এ পরিবারের এক চালা প্রতিমা খুব সুন্দর। চালচিত্র আঁকা হয় হাতেই। সিংহের রং সাদাটে রুপোলি। এর কারণ অবশ্য সঠিক ভাবে জানা যায় না। তবে রুপোলি সিংহ এই পরিবারের ঠাকুরের বৈশিষ্ট।