উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: পুজোর শহরে দুই ছবি। একদিকে যখন পুজোর আনন্দে গা ভাসিয়েছে তিলোত্তমা, অন্যদিকে তখনই বঞ্চনার বিষাদ নিয়ে পথেই এসএসসির চাকরিপ্রার্থীরা। গাঁধীমূর্তির পাদদেশে আজ তাঁদের আন্দোলনের ৫৬৭ দিন। বঞ্চনার বিষাদ নিয়ে পথেই এসএসসির চাকরিপ্রার্থীরা। উৎসবের এই দিনে তাঁদের প্রশ্ন “আর কতদিন বসে থাকব?’’
উৎসবের শহরে আন্দোলনে চাকরিপ্রার্থীরা: আলোর মালায় সেজে উঠেছে কল্লোলিনী তিলোত্তমা। মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ঢল। থিম থেকে প্রতিমা, আধুনিকতার সঙ্গে মিলেমিশে গিয়েছে সাবেকিয়ানা। গত দু’ বছরের করোনা-আতঙ্ক কাটিয়ে, এবার সাড়ম্বরে মাতৃ আরাধনায় মেতেছে আপামর বাঙালি। দিকে দিকে আলোর রোশনাই। কিন্তু উৎসবের এই আলো পৌঁছচ্ছে না ধর্মতলা চত্বরে অবস্থানরত চাকরিপ্রার্থীদের কাছে। উৎসবের চিহ্নটুকু নেই, আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের মনে। কারোর চোখে জল, কারোর আবার কথা বলতে গিয়ে গলা বুজে আসছে। ঝাপসা হচ্ছে চোখ, পরিবারের কথা বলতে গিয়ে ধরে রাখতে পারছেন না চোখের জল। বঞ্চনার অভিযোগে উৎসবের দিনেও রাস্তায় অবস্থান করছেন তাঁরা। ঘর-বাড়ি ভুলে নিয়োগের দাবিতে সরব তাঁরা।
পুজোর শহরে দুই ছবি: পুজোর আনন্দে যখন উদ্ভাসিত গোটা বাংলা, তখন রাস্তায় বসে চোখের জল ফেলতে হচ্ছে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের। উৎসবের কলকাতায় অপ্রাপ্তির বিষাদ। ৫৬৭ গিন আগে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। উৎসবের দিনও অন্যরকম হল না ছবিটা। মহাসপ্তমীর দিনও আন্দোলনে চাকরিপ্রার্থীরা। পরিবার, বাবা-মা, সন্তানকে ছেড়ে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ তাঁদের। চোখে জল নিয়ে ধরে আসায় গলায় স্লোগান আন্দোলনকারীদের। এক চাকরিপ্রার্থী কথায়, "আমার একটা সন্তান রয়েছে। নিজের পরিচয় তৈরি করার লক্ষ্যে এই আন্দোলন করছি। আমার নিজের পরিচয় তৈরি হলে তবেই সন্তানের পরিচয় তৈরি করতে পারব। এক একটা করে উৎসব, রঙিন দিনগুলি আমাদের জীবন থেকে চলে গিয়েছে। আমাদের পুজোটাই অন্ধকারে। আর কতদিন বসে থাকব?''
দিনদুয়েক আগে একটি মামালার শুনানিতে হাইকোর্ট (Calcutta High Court) জানায় পুজোর সময় চাকরিপ্রার্থীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভ (Job Seekers Agitation) করতে পারবেন। “ধর্মতলা চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ করতে পারবেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা। যোগ্য প্রার্থীরা রাস্তায় চাকরি ভিক্ষা করবে, আর পুলিশ আন্দোলন করতে দেবে না, এটা হয় না।’’ মন্তব্য করেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। আগামী একমাসের জন্য আন্দোলনে অনুমতি হাইকোর্টের।