অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: মহাষ্টমী (Durga Puja 2023) মানে আমজনতা থেকে তারকা, সকলেই মণ্ডপমুখী। ব্যতিক্রম নন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে দেখা গেল হাজরা পার্ক দুর্গোৎসবে (Actor Prosenjit Chatterjee At Hazra Park) । বললেন, 'হাজরা পার্কের পুজোয় স্রেফ পুজো হিসেবে আসি না। এটা একদম বাড়ির মতো। আমি এখানে অঞ্জলি দিই। এটা মোটামুটি ফিক্সড। এখান থেকে আমাদের ভোগও যায়...।' তবে এবার যে এই পুজোর থিম তাঁর সবিশেষ ভাল লেগেছে, সেটা একাধিক বার বললেন টলিউডের 'বুম্বাদা'। ৮১ বছরের পুজোয় হাজরা পার্ক দুর্গোৎসবের থিম 'তিন চাকার গপ্পো '।
বিশদ..
অল্প দূরেই হাজরা মোড়ের অটোস্ট্যান্ড। সেখান থেকে প্রত্যেক দিন একাধিক রুটে অটো চলাচল করে। এই অটোস্ট্যান্ডকেই এবার শৈল্পিক আকারে মণ্ডপে তুলে ধরা হয়েছে। অভিনেতার কথায়, 'হাজরা পার্কের থিমটা আমাকে ছুঁয়ে গিয়েছে। কারণ যে মানুষগুলি আমাদের প্রত্যেক দিন পরিষেবা দেন, তাঁদের নিয়ে সে ভাবে কোনও কাজ হয় না। অঞ্জনদার একটা ছবিতে একবার অটোরিকশাচালকের চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। ছবিটা সুপারহিট হয়। সেখানে প্রায় হাজার জন অটোরিকশাচালককে নিয়ে একটা গান রয়েছে। ওদের একবার গানটা চালাতে অনুরোধ করব। আমরা এই অটোরিকশাচালকদের নানা নামে ডাকি ঠিকই, কিন্তু তাঁরা না থাকলে আমাদের কী অবস্থা হয় ভেবে দেখুন তো? অথচ পুজোর সময় এঁদের ছুটি নেই। আমাদের জন্য এঁরা রাস্তায় থাকেন। তাঁদের কথা ভেবে এবারের থিম। আমার খুব ভালো লেগেছে।' সঙ্গে আরও বললেন, এই পুজোয় প্রত্যেক বছরই তাঁর হাজিরা প্রায় পাকা। প্রসেনজিতের কথায়, 'কিছু কিছু পুজোয় আমাদের যেতেই হয়। এবার চারদিকে অসম্ভব ভাল পুজো হচ্ছে। এখানে আসাটা আমাদের নিজের জন্য আসা। ভিড়ভাট্টা নয়, একদম আমার মতো করে অঞ্জলি দিতে পারে, সেটা খুব জরুরি। এটা এখন প্রায় স্থির হয়ে গিয়েছে।'
কোথায় গেলেন ঋতুপর্ণা?
অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত আবার মহাষ্টমীর সকালে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিজয়গড় পল্লিশ্রীর পুজোয়। বললেন, 'এখানে মনে হয় বাড়ির পুজো। বাড়ির পুজোয় এসে অঞ্জলি দেওয়া আলাদা আনন্দ বলে মনে হয়।' সঙ্গে আরও বলেন, 'বাড়ির পুজোর মধ্যে একটা একাত্মবোধের অনুভূতি থাকে। সকলে মিলে আন্তরিক ভাবে আনন্দ করা যায়...বাড়ির পুজোর মধ্যে একটা ওনারশিপও থাকে।' বিজয়গড় পল্লিশ্রীর পুজোয় ঠিক এমনই অনুভূতি পেয়ে থাকেন টলি-তারকা। সঙ্গে আরও জানালেন, পুজোর ক'টা দিনই বেশ কিছু মানুষের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। ঋতুপর্ণার কথায়, 'এটি শুধু উৎসব নয়, আমাদের সম্পর্কগুলোরও মিলন মেলা।' কিন্তু এত কর্মব্যস্ততার মধ্যে পুজোর দিনগুলির জন্য আলাদা সময় বের করেন কী ভাবে? তাঁর মতে, এই সময়টা চলে গেলে, আর আসবে না। তাই দুর্গাপুজোর সময়টা একটু আলাদা রাখতে চান তিনি। সব মিলিয়ে তারকাদের পুজোও জমজমাট।
আরও পড়ুন:কুণাল ঘোষের পাড়ার পুজোয় অঞ্জলি রাজ্যপালের, হল আলাপচারিতাও