ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা:আজ দশমী (Vijaya Dashami 2023)। সকাল থেকে গঙ্গার ঘাটে বিসর্জনের (Preparation For Durga Idol Immersion 2023) প্রস্তুতি চলছে। কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জলে-স্থলে রয়েছে পুলিশের নজরদারি। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। ড্রোন উড়িয়েও নজরদারি চালানো হবে। গঙ্গাবক্ষে টহল দিচ্ছে রিভার ট্রাফিক পুলিশ। দশমীর দিন দুপুর সোয়া ১টা থেকে বন্ধ থাকবে চক্ররেল পরিষেবা। এদিন প্রথমে বাড়ির ঠাকুর নিরঞ্জন হবে। এরপর একে একে বারোয়ারি পুজোর প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা। বাবুঘাট, জাজেস ঘাট, বাগবাজার ঘাট, আহিরীটোলা ঘাট-সহ গঙ্গার একাধিক ঘাটে চলবে প্রতিমা নিরঞ্জন।
উৎসব শেষে...
উৎসবের আজ শেষ দিন। মাকে বরণ, সিঁদুর খেলা...একে একে সব আচার-রীতিনীতির পর এবার প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা। সপরিবার ফিরে যেবেন দেবী। তার পর, আনন্দময়ীর ঘরে ফেরার জন্য আরও এক বছর অপেক্ষা। বাঙালি অবশ্য দশমীর পর দিন থেকেই আগামী বছরের দুর্গাপুজোর প্রহর গোনে। কিন্তু বিষাদের মুহূর্ত কি কিছুটা কম ভারবহ হয় তাতে?
আপাতত প্রতিমা নিরঞ্জনের তোড়জোড় চলছে শহরের আনাচ-কানাচে। মণ্ডপ থেকে দেবীমূর্তিকে গঙ্গার ঘাটে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি তুঙ্গে। সঙ্গে সাবধানতাও। তার পর প্রণাম, কোলাকুলিতে হবে শুভেচ্ছা বিনিময়, মিষ্টিমুখ। প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য গঙ্গার ঘাটে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন শুধু দু’চোখ ভরে মাকে দেখে নেওয়া আর ঢাকের তালে বলে ওঠা, আসছে বছর আবার এসো মা।
ইছামতীর পাড়ে...
প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরও দেবীর বিদায়বেলায় ইছামতীর পাড়ে দুই বাংলার মিলনের ছবি ধরা পড়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার টাকিতে প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে উৎসবের মেজাজ পুরোদস্তুর।এপারে বসিরহাটের টাকি, ওপারে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলা। মাঝখানে বয়ে চলেছে ইছামতী। দশমীর সকালে ইছামতীতে শুরু হয় দুই বাংলার প্রতিমা বিসর্জন। টাকি রাজবাড়ি ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। মাঝে অবশ্য খবর পাওয়া গিয়েছিল, ইছামতীতে প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। টাকি পুবের রাজবাড়ির মহিলাদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি, দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত হাসনাবাদ থানার সেকেন্ড অফিসার তিলক সান্যাল। প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন রাজবাড়ির সদস্যরা। পরে হাসনাবাদ থানার ওসি-র হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে ঘাটের ডিউটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
প্রতিমা নিরঞ্জনের বাকি পর্ব যাতে নির্বিঘ্নে হয়, সে দিকে কড়া নজর রাখছে প্রশাসন।