শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা: উদ্বোধনের দিন থেকেই ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষ। গোড়া থেকেই এই পুজো ঘিরে উন্মাদনা ছিল শহরজুড়ে। কলকাতা শহরের বহু পুরনো বারোয়ারি পুজোগুলোর মধ্যে বরাবরই প্রথম সারিতে থেকেছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার (Santosh Mitra Square Puja)। এই পুজোর দায়িত্বে রয়েছেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ (Sajal Ghosh)। ষষ্ঠীর দিন শুরুর দিনগুলোর স্মৃতিচারণা করেন তিনি। বিজেপির হেভিওয়েট কাউন্সিলর। একমাত্র তাঁর পুজো উদ্বোধন করতে দিল্লি থেকে কলকাতা উড়ে এসেছেন স্বয়ং অমিত শাহ।


সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ। রাজনীতিতে আসার অনেক আগে থেকেই পাড়ার পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে তিনি। এখন সারাবছর মিটিং মিছিল, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকলেও পুজোর প্রস্তুতিতে শুরু থেকেই জড়িয়ে থাকেন তিনি।


বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, 'কোনও বছর ব্যাজ না পেলে কান্নাকাটির অবস্থা হতো। পুজোর জামা চাই না, কিন্তু কমিটির ব্যাজটা লাগতো। সারা বছর অনেক কাজের চাপ থাকে, কিন্তু পয়লা বৈশাখ থেকে আমরা পুজো নিয়ে নেমে পড়ি। আমি সুস্থ থেকে ১০০ বছর পার করে যেতে চাই। আমার শেষ ইচ্ছা এই মাঠটা থেকেই যেন দেবুর দেহ বের হয়।'


সজল ঘোষের বাবা প্রদীপ ঘোষ ছিলেন কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা। সেখান থেকে দলবদল। কলেজে পড়ার সময়ই তৃণমূল ছাত্র পরিষদে যোগ দেন প্রদীপ-পুত্র সজল ঘোষ। এখন যিনি বিজেপির কাউন্সিলর। যদিও পুজোর আনন্দ তিনি সকলের সঙ্গেই ভাগ করে নিতে চান। তবে একেবারেই রাজনীতি এড়াননি তিনি। সজল বলেন, 'বিরোধী রাজনৈতিক হিসেবে একটু তো চাপ হয় অমিত শাহের আসা নিয়েই কথা শুনতে হয়েছে। কিন্তু প্রদীপ ঘোষের সময় সুভাষ চক্রবর্তীর মতো বাম নেতারাও পুজোর অংশ নিতেন। আমি এবার মালা পিসি, অতীনদা, ববিদা সবার কাছে কার্ড দিয়েছি।'


আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামের পুজোর উদ্বোধনে শুভেন্দু, বিরোধী দলনেতা চলে যেতেই প্রবেশ কুণালের


চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে, জানুয়ারি মাসে অযোধ্য়ায় রামমন্দির উদ্বোধন হওয়ার কথা। বিরোধীরা বলছেন, ভোটব্যাঙ্ক টানতে রাজনৈতিক কৌশল নরেন্দ্র মোদি সরকারের। ৮৮ তম বছরে সেই মন্দিরের আদলেই সেজে উঠেছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের মণ্ডপ, যা দেখতে কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় জমাছেন। ষষ্ঠীর দিন রাত পর্যন্ত কার্যত জনস্রোত ছিল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার।