কলকাতা: উত্তর কলকাতার অন্যতম দুর্গাপুজো (Durga Pujo 2023) হল কলেজ স্কোয়ার। কলেজ স্কোয়ারের পুজো মানেই আলোর রোশনাই। প্রতিবছরের মতো এবছরও নজর কাড়ছে সাবেকি প্রতিমা, বিশাল ঝাড়বাতি এবং বিশাল প্যান্ডেল। এবছর ৭৬তম বছরে পড়ল এখানকার দুর্গাপুজো। কলেজ স্কোয়ারের পুজোয় এবার মহীশূরের প্যালেসের আদলে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ আলোকসজ্জা ও দেবীপ্রতিমা।নির্মাণকল্পে সেরা এবিপি আনন্দ শারদ সম্মান পেল কলেজ স্কোয়ারের পুজো।
আজ ষষ্ঠী। দেবীর বোধন। সপরিবারে উমার পিতৃগৃহে আগমনের দিন৷ বোধনের পর দেবীর অধিবাস৷ বিল্ববৃক্ষের তলায় দেবীর আরাধনা৷ গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতী-সপরিবারে একরাত সেখানেই থাকবেন মা দুর্গা৷ সপ্তমীর সকালে পা দেবেন বাপের বাড়িতে৷ শহরজুড়ে মহোৎসবের আবহ৷ উত্তর, দক্ষিণ, সব জায়গাতেই এক ছবি৷ ষষ্ঠীর সকাল থেকেই ঠাকুর দেখার ভিড়৷ নতুন জামাকাপড়৷ নতুন জুতো৷ হৈ-হুল্লোড়, খাওয়া-দাওয়া৷ উত্সবের আনন্দে ভাসছে শহর। থিম, সাবেকিয়ানা, নান্দনিকতায় মিলে-মিশে উদযাপনের রঙ৷ বাঙালির সেরা উৎসব।
প্রসঙ্গত, মহাপুজোয় মশগুল মহানগর। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পায়ে পায়ে সিগন্যাল গ্রিন। ভিড়ের চাপে যতই চিড়ে চ্যাপ্টা অবস্থা হোক কিম্বা ঘেমেনেয়ে একশা হোক গিলে করা পাঞ্জাবি, থেমে নেই প্যাণ্ডেল হপিং। আপত্তি নেই লম্বা লাইনের দীর্ঘ প্রতীক্ষায়। বছরে তো এই ক’টা মাত্র দিন। রাজপথে মানুষের ঢল। সময়ের সঙ্গে বাড়ছে জনস্রোত। আলো ঝলমলে শহরে ঠাকুর দেখার ঢল। থিম, সাবেকিয়ানা মিলেমিশে একাকার উৎসবের রঙ। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে সেই আমেজই তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন শহরবাসী। সঙ্গে হুল্লোড়, আড্ডা, পেটপুজো। ফুচকা, রোল, চাউমিন।
তবে কলেজ স্কোয়ারের পাশাপাশি, উত্তর কলকাতার আরও একাধিক পুজো নজর কেড়েছে। সুকুমার রায়ের অমর সৃষ্টি আবোল তাবোলের একশো বছর। বিভিন্ন চরিত্র দিয়ে সাজিয়ে তোলা মণ্ডপ। সাহিত্য প্রয়োগে এবার সেরার সম্মান ছিনিয়ে নিল হাতিবাগান নবীন পল্লি। এবার এই পুজো পড়ল ৯০ বছরে।প্রান্তজনের আত্মকথন। টুসু পরবকে উপলক্ষ্য করে থিম। এবার তেলেঙ্গাবাগানের পুজো পড়ল ৯৮তম বছরে।
আরও পড়ুন, মহুয়া মৈত্রর করা মানহানির মামলায় ট্যুইস্ট দিল্লি হাইকোর্টে !
অপরদিকে, দক্ষিণ কলকাতায় দেখতে দেখতে ৭৪ বছরে পা দিল কসবা বোসপকুরের পুজো। বরাবরের মতোই এবারও সেখানে থিমের পুজো। আনুষ্ঠানিকভাবে থিমের নাম দেওয়া হয়েছে আয়োজন। তবে নামটা আনুষ্ঠানিকভাবে রাখা হলেও, বিষয়টা 'কিসসা কুর্সিকা।' আসলে পুজো মণ্ডপ তৈরি হয়েছে চেয়ার দিয়ে। ডেকরেটরদের বহুল প্রচলিত সেই লুপ্তপ্রায় সাদা চেয়ার এখানে ব্যবহার করা হয়েছে।জনসমাবেশে যে চেয়ারগুলি ব্যবহার করা হয়, সেই চেয়ারগুলিকে দিয়েই মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। যা মূলত ক্ষমতার প্রতীক।