কলকাতা: পুজোর (Durga Puja 2023) আনন্দে রাজনীতিকরাও। কেউ ধুনুচি নাচ করলেন, কেউ আবার বাজালেন ঢাক। বছরভর রাজনীতির ব্যস্ততা। তার মধ্যেই শারদ-আনন্দে মাতলেন তাঁরাও।
উৎসবের আনন্দে রাজনীতিকরা: ঢাকের বাদ্যি, ধুনোর গন্ধ, গল্প-আড্ডার জমাটি আসর। উৎসবের শেষ লগ্নে আনন্দে মেতেছে আট থেকে আশি। উৎসবের আনন্দে সামিল হলেন রাজনীতিকরা। একেবারে ভিন্ন মুডে দেখা গেল তাঁদের। এদিন কুলটির নিয়ামতপুর দেবী মন্দিরে ঢাক বাজালেন অগ্নিমিত্রা পাল। নবমীর সন্ধ্যায় শ্রীরামপুরের একটি পুজোয় ধুনুচি নাচে পা মেলালেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ির পুজোয় ধুনুচি নাচ করলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। লাস্ট ল্যাপে পুজো। নবমীর রাতে ঢাক বাজালেন দুই মন্ত্রী। সুরুচিতে অরূপ বিশ্বাস, শ্রীভূমিতে সুজিত বসু। এদিন অরূপ বিশ্বাসের সুরুচি সঙ্ঘের পুজোয় হাজির হয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম।
ক’দিন যেতে না যেতেই দুয়ারে কড়া নাড়ল নবমী নিশি (Durga Puja 2023)। মন না চাইলেও ঘরে ঘরে শুরু উমা-বিদায়ের প্রস্তুতি। নবমীর সকাল থেকেই মন খারাপ ৷ হাসিমুখে সেই মন খারাপ ঢেকে রাখার চেষ্টা। সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে ঠাকুর দেখার ভিড়। নবমীর মহানগরীতে দুপুর থেকেই জনপ্লাবন ৷ স্লগ ওভারে শারদোৎসবের আমেজ চুটিয়ে উপভোগ করতে রাজপথে শহরবাসী৷ সন্ধে নামতেই জ্বলে উঠল আলো। উত্তরে কলেজ স্কোয়ার থেকে দক্ষিণে একডালিয়া, জনস্রোত ভাসিয়ে দিল এক মণ্ডপ থেকে আরেক মণ্ডপ৷ প্রতিমা দর্শন, খাওয়া-দাওয়া আর দেদার আড্ডা ৷
এদিন দুপুর থেকেই কলকাতায় জনসমুদ্র। সন্ধে নামতেই তা জনসুনামির চেহারা নেয়। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে চলে দল বেঁধে ঠাকুর দেখা। প্রতি বারের মতো মাকে আরও কিছুদিন রেখে দেওয়ার বাসনা নিয়েই বিসর্জনের প্রহর গোনা শুরু। আলো-উৎসব-ভিড় সবই আগের মতো। কিন্তু সব কিছুরই রঙ যেন মনে হবে বড্ড বেশি ফিকে৷ আজ যে নবমী, রাত পোহালেই দশমী। উমা বিদায়। দশমীর সকাল হলেই প্রথা মেনে, উমার কৈলাসে ফেরার বার্তা নিয়ে উড়ে যাবে নীলকণ্ঠ পাখি। মন না চাইলেও ফেরাতে হবে উমাকে।
আরও পড়ুন: Nadia News: কৃষ্ণনগরে বাইকের শোরুমে ডাকাতি, ৬ লক্ষ টাকা লুঠের অভিযোগ