অমিত জানা, সবং: ৩০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার বাড়ির দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023)। প্রথা মেনে আজও দেবীকে দেওয়া হয় ঘরে তৈরি মিষ্টির ভোগ। পরিবার ও স্থানীয়দের বিশ্বাস, মাযের কাছে যা মানত করা হয়, তা পূরণ করা হয়।
মন্ত্রীর বাড়ির দুর্গাপুজো: পায়ে পায়ে কয়েক শতাব্দী পার। এখনও একই প্রথা, একই নিয়ম মেনে হয় দেবীর আরাধনা। পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore) সবং ব্লকের দশগ্রাম অঞ্চলের কোলন্দা গ্রামে ভুঁইয়া বাড়ির পুজো। এই বাড়িরই সদস্য রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। দেবীর আরাধনায় এখানে মিলেমিশে রয়েছে ঐতিহ্য ও সাবেকিয়ানা।পরিবার সূত্রে দাবি, এই পুজো ভুঁইয়া বাড়ির ত্রয়োদশ প্রজন্মের পুজো। পুজোকে ঘিরে পরিবারে সদস্যরা তো বটেই, গ্রামের মানুষও হইহুল্লোড়ে মেতে ওঠেন।
পরিবারের সদস্য চণ্ডীদাস ভুঁইয়া বলেন, “সর্বপ্রথম আমার পূর্বপুরুষ ভুঁইয়ারাই এই পুজো করে গেছেন এখন বাড়ির সকলেই বিভিন্ন কাজে বাইরে। নবমীতে কুমারী পুজো হয় তাকে দেবী রূপ বসিয়ে পুজো করা হয়। পূজার কটা দিন কুলো দেবতা বাড়ি থেকে মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রত্যেকদিন প্রসাদ হয় ঠাকুরের পায়েস হয় ঠাকুরের পায়েস খুব বিখ্যাত।’’
কথিত রয়েছে, কন্দর্পনারায়ণ ভূপাল দাস ভূঁইয়া বর্গীদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে কেলেঘাই নদীর পাড়ে বসবাস শুরু করেন। পরে সেখানে শুরু হয় দুর্গা পুজো। এক সময় টেরাকোটা মন্দিরে দুর্গাপুজো হত। কিন্তু আজ সেই মন্দির ভগ্নপ্রায়। পরিবার ও স্থানীয়দের বিশ্বাস, দেবীর কাছে যা মানত করা হয়, দেবী তা পূরণ করেন। দুর্গা মণ্ডপের পাশেই রয়েছে ভুঁইয়া পরিবারের কুলদেবতা শ্যামসুন্দর জিউ ও শ্রী রাধিকার মূর্তি। সপ্তমীর দিন দুর্গা মণ্ডপে আনা হয় তাঁদের মূর্তি।
বাইরের কোনও মিষ্টি উমাকে নিবেদন করা হয় না। বাড়িতে তৈরি করা মিষ্টান্ন ভোগ দেওয়া হয় মাকে। কুমারী পুজো নবমীর বিশেষ আকর্ষণ। গৃহকর্ত্রী ও মন্ত্রীপত্নী গীতা ভুঁইয়া বলেন, “৩০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই পুজো চলে আসছে দুর্গা পুজো পাশাপাশি শ্যাম সুন্দর জিউ ও রাধিকা মায়ের পুজো হয়ে আসছে। পরিবারের সকলে যারা বাইরে থাকেন তারা এই পুজোর কটা দিন একত্রিত হই। মায়ের কাছে মানত করলে আমাদের সকলের মনস্কামনা পূরণ হয়।’’
আরও পড়ুন: Durga Puja 2023: মুঘল সম্রাট শেরশাহের আমলে শুরু পুজো, ডাকের সাজে একচালায় প্রতিমার আরাধনা