অস্টিন : মার্কিন মুলুক হলে কী হবে, এ পুজোয় বাঙালিয়ানা শতভাগ। প্রতিবারের মতো এবারও আমেরিকার টেক্সাস (Austin , Texas , USA) রাজ্যের রাজধানী শহর অস্টিনে সাড়ম্বরে পালিত  হল দুর্গোৎসব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA )হলে কী হবে এই পুজো যেন একটুকরো বাংলা। এপার বাংলা , ওপার বাংলা মিলেমিশে একাকার। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য এই পুজোর ইউএসপি। তবে বৈচিত্রের মাঝেই ধরে রাখা হয় ষোলআনা বাঙালিআনা। 


বিদেশের মাটিতে পাঁজি মেনে ষষ্ঠী থেকে দশমী, পুজো করা কার্যত অসম্ভব। তাই সকলের সুবিধেমতো বেছে নেওয়া হয়েছিল দেবীপক্ষের সূচনার দিনটি। এদিন সকাল থেকেই দুর্গোৎসবে মাতলেন সকলে। সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে রাত ৯ টা অবধি উদযাপন। পুজো শুরুর পর নিয়ম মেনে অঞ্জলি, খাওয়া দাওয়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ধুনুচি নাচ, কী না ছিল এই পুজোয়। 


বোধন থেকে শুরু করে সন্ধি পুজো, ধুনুচি নাচ, সব একদিনে। এই পুজোর বৈশিষ্ট হল, এখানে সব বাঙালিরা একত্রে পুজো করেন। সেখানে যেমন থাকেন ভারতীয় বাঙালিরা। তেমনই থাকেন বাংলাদেশের বাঙালিরা। বিবিধের মাঝে মিলনটাই হয়ে ওঠে উৎসবের থিম। অস্টিনের পুজোয় যেভাবে শাড়ির সাজে একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছিলেন মহিলারা, সেখানে ছবি দেখে কলকাতা না অস্টিন বোঝার উপায় নেই। পাঞ্জাবির সাজে তাক লাগালেন পুরুষরা। ঢাকও বাজালেন অনেকে। কোমর দোলালেন মহিলারা। আর ছোটদের আনন্দ ছিল দেখার মতো। 


বহু বাঙালির আকর্ষণের কেন্দ্র এই পুজো। তাই অংশ নিতে চান অনেকেই। আগে থেকে প্রবেশের টিকিট কাটতে হয়। হুড়মুড়িয়ে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল সব টিকিট। স্থান সীমিত । তাই আমেরিকার পুজোয় জন সমাগমের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ রাখতেই হয়। 


সন্ধেয় স্ন্যাক থেকে ডিনার সবরকমের ব্যবস্থা ছিল। তবে সবটাই সময় মেনে। উৎসবের শুরু থেকে শেষ, সবটাই নিয়মে বাঁধা। রাত ৯ টার মধ্যেই শেষ করার করা নির্দেশ ছিল। পারফর্ম করতে এসেছিলেন অঙ্কিতা ভট্টাচার্য । 


আগামী সপ্তাহেই বঙ্গে বোধন দেবীর। তার আগেই মার্কিন মুলুকে হয়ে গেল বোধন। সারা বছর ঘর ছাড়া বাঙালিরা চেটেপুটে আগাম উপভোগ করলেন শারদ উৎসবের আনন্দ।  আর মনে মনে বললেন, আসছে বছর আবার হবে। 



আরও পড়ুন, এবার ঘোড়ায় আগমন দেবী দুর্গার, দেখে নিন বাঙালির প্রাণের উৎসবের নির্ঘণ্ট !

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial