কলকাতা: আজ দশমী। কৈলাসে ফিরছেন উমা। বাতাসে বিষাদের সুর। ঘাটে ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা। সকাল থেকে মণ্ডপে শুরু হয়েছে সিঁদুর খেলা। দেবীকে সিঁদুরে রাঙিয়ে, মিষ্টিমুখ করিয়ে বরণ করছেন মহিলারা। সঙ্গে কোলাকুলি ও মিষ্টিমুখ। 


কৈলাসে ফেরার পালা উমার: সাঙ্গ হল উৎসব। নিয়ম মেনে উড়ে গেল নীলকণ্ঠ পাখি। মেনকার মন না চাইলেও ফেরাতে হবে উমাকে। চার দিনের পুজো শেষে বিজয়া দশমী। আনন্দে উচ্ছ্বাসে মিশেছে বিষণ্ণতার সুর। মা-কে বিদায় জানানো। মনের কোণে বিজয়ার বিষাদ-মেঘ। চোখে জল ধরে রেখে হাসিমুখে মাকে বিদায় দেওয়ার পালা। আসছে বছর আবার এসো মা... শনিবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে বরণ। রবিবার সকালেও মণ্ডপে মণ্ডপে চলে বরণ...সিঁদুরখেলা। একে অন্যকে সিঁদুরে রাঙিয়ে দেওয়ার পালা। বিসর্জনের রবিবার। নিয়ম মেনে এদিন গঙ্গার সমস্ত ঘাটে চলে প্রতিমা নিরঞ্জন। সকাল থেকেই বাবুঘাটে শুরু হয় বিসর্জন। যাতে গঙ্গাদূষণ না হয় দেখা হয়। বিসর্জনের পরই কাঠামো তুলে নেওয়া হয়। গঙ্গায় স্পিড বোটে চেপে এদিন পরিস্থিতি দেখেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে এদিন বাবুঘাটে আসেন অনেকে। ছিলেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত।


৫০০ বছরেরও বেশি পুরনো কোচবিহার শহরে দেবীবাড়ির পুজো। মা দুর্গা এখানে বড়দেবী বলে পূজিতা। দশমীর সকালে দেবী বরণের পর শুরু হয় সিঁদুরখেলা। রাজা নরনারায়ণের হাতে শুরু হওয়া এই পুজোর বিসর্জনের রীতি আজও একই রয়েছে। দড়ি দিয়ে টেনে ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় প্রতিমা। মূল কাঠামো অক্ষত রেখে দেবীর দুটি হাত, পায়ের পাতা, অসুর, বাঘ, সিংহকে খণ্ডিত করে যমুনা দিঘির জলে বিসর্জন দেওয়া হয়। অন্যদিকে, দশমীতে জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়িতে মাকে ভোগ হিসেবে দেওয়া হয় পান্তা ভাত, শাপলা, ইলিশ মাছ, পুঁটি মাছ ভাজা, কচু শাক, দই, মিষ্টি। এরপর শুরু হয় সিঁদুরখেলা। ঢাকের তালে নাচে পা মেলান শহরবাসী। এ বছর বন্ধ দেবীকে গান স্যালুট দেওয়ার প্রথা।প্রতিমাকে চাকা লাগানো পাটাতনে করে নিয়ে যাওয়া হয় রাজবাড়ির পুকুরে। এখানে বিসর্জনের সময় রাজ পরিবারের কোনও সদস্য উপস্থিত থাকেন না। শুধুমাত্র রাজ পরিবারের পুরোহিত এবং শহরবাসীরা বিসর্জনে অংশ নেন। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: Junior Doctors Hunger Strike: 'অনশনকারীদের স্বাস্থ্যের অবনতিতে নাগরিক সমাজ দুশ্চিন্তায় রয়েছে' মুখ্যমন্ত্রীকে ই-মেল বিশিষ্টজনদের